মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা (সাঘাটা, ফুলছড়ি) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলার বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয় এবং দুর্যোগকালে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ২৪১ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার ১৫৫ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে ৩৪টি বহুমুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র।
গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে এবং এর নির্মাণকাজ পরিচালনা করবে মো. রাশেদুজ্জামান পিটার and মেসার্স হামীম ইন্টারন্যাশনাল.
একজন স্থানীয় সরকার কর্মকর্তা জানান,
“এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো কেবল শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় হিসেবেই নয়, বর্ষাকালীন বন্যার সময় আশেপাশের বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। এতে মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।”
উল্লেখ্য, নদীভাঙন ও বারবার বন্যার কবলে পড়ে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জসহ বেশ কিছু উপজেলা নিয়মিত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই কারণে টেকসই ও বহুমুখী অবকাঠামোর দাবি দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্যা-দুর্যোগকবলিত এলাকায় শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি ও দুর্যোগকালীন আশ্রয়ের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।