মোঃ রেজাউল হক শাকিল, ব্রাহ্মণপাড়া
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় নিজের সন্তানকে নিজের কাছে ফিরে পেতে কোর্টে মামলা দায়ের করেছে এক অসহায় পিতা৷ স্ত্রী বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ একাধিক অভিযোগ করেছেন কোর্টে৷ বিয়ের নামে একাধিক পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, প্রতারণা-জালিয়াতি ও ব্ল্যাকমেইল এবং হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার ইশরাত জাহান ওরফে আখির বিরুদ্ধে। তার ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। এনিয়ে তার তৃতীয় স্বামী একই উপজেলার শশীদল এলাকার মোঃ আলী মিয়ার ছেলে মোঃ জহিরুল কবির বাদী হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে চারটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া তেতাভূমি আলী আকবর মেম্বার বাড়ির (অবঃসেনা সদস্য) মোঃ রফিকুল ইসলামের মেয়ে ইশরাত জাহান ( আখি) এ পর্যন্ত ৩ এর অধিক বিয়ে করেছেন। বিয়ে করে কিছুদিন পর সেই স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া এবং তার কাছ থেকে দেনমোহরের টাকা, ব্ল্যাকমেইলসহ নানা কৌশলে হাতিয়ে নেওয়াই যার মূল টার্গেট। ইশরাত জাহান ( আখির) তৃতীয় স্বামী জহিরুল কবির বলেন, ২০১৭ সালে রং নাম্বারে তার সঙ্গে পরিচয়। ২০১৯ সালে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করি। আমার একজন তিন বছরের মেয়ে আছে। সে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে প্রতিনিয়ত হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। তাকে এই পর্যন্ত আমি কোটি টাকার ও বেশি দিয়েছে। তার একাধিক পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তার ছোট বোনের স্বামীর সঙ্গে একই রুমে কুমিল্লার একটি বাসায় হাতেনাতে ধরি।
সে আমার হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে এবং আমার সন্তানের দিয়ে তাকিয়ে তাকে আবারও গ্রহণ করে নেই। কিন্তু সে কিছু দিন পর আবারও অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আমার সন্তনকে সে অন্যের পরিচয়ে লালনপালন করছে এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়৷ আমার সন্তান আমার কাছে ফেরত চাই৷ গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) নিজের আপন ছোট বোনের স্বামীর একাধিক মাদক মামলার আসামি মোজাম্মেল মেম্বার এর সাথে ঘুরতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার জনতার হাতে আটক হয় তারা দুইজন৷ পৌর এলাকার সাধারন মানুষ তাদের কসবা থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসে৷ কসবা থানায় অবস্থান কালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইশরাত জাহান ( আখি) বলেন জহির আমার কেহ নয়৷ আমি তার স্ত্রী এটা সত্য নয়৷
সে ছবি ইডিট করে ভূয়া কাবিন বানিয়ে আমাকে ফাঁসাচ্ছে৷ বাচ্চার বিষয়ে জানতে চাইলে ইশরাত জাহান (আখি) বলেন এটা আমার অন্য স্বামীর সন্তান৷ কোর্টে মামলা থাকায় পরে কসবা থানা পুলিশ উভয় কে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন৷ এবং যেহেতু বর্তমানে কোর্টে একাধিক মামলা চলমান তাই উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলার আহবান জানান৷ মামলার তদন্ত কারি কর্মকর্তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) নিজাম উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান ইশরাত জাহান (আখি) বিরুদ্ধে তিনটি মামলার তদন্ত চলছে৷ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷