মো. নূর আলম গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. আ. খালেক ওরফে বাচ্চু মিলিটারি’র জমি দখল এবং শতাধিক গাছ কেটে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলামের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মো. আ. খালেক জানান, ২০১৪ সালে তার নিজ বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেন তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম ও তার সহযোগীরা। রাস্তার নির্মাণকাজ শেষে তার জমির ওপর জোরপূর্বক একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এরপর ব্রিজের পাশে তার জমির একাংশে মো. শরিফ নামে এক ব্যক্তির জন্য ঘর তৈরি করে দেন চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম। ঘর নির্মাণের সময় মো. আ. খালেকের লাগানো প্রায় ১০০টি গাছ কেটে ফেলা হয়।
এ নিয়ে মো. আ. খালেক জানান, তিনি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। তার বড় ভাইকে ঘরে আটকে রেখে জমি দখলের কাজ চালানো হয়। তিনি অভিযোগ করেন, এতে তার প্রায় ১১ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগীর দাবি, তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় ইউনুছ ইসলাম তার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এ অবিচার করেন। জমি দখল ও গাছ কাটা নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। উল্টো তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কোনো উপায় না পেয়ে মো. আ. খালেক টাঙ্গাইল জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১২৪/২০১৩)। তবে মামলার তারিখে আদালতে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি আমার জমি ফেরত চাই, গাছ কাটার ক্ষতিপূরণ চাই এবং চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলামের বিচার চাই।”
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।