মো. আব্দুল কুদ্দুস, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনার এক বছর পর তাড়াশ উপজেলার নওগা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহীন বাবু থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) তাড়াশ থানায় ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১২০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছে। মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট ২০২৪ইং দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খালকুলা এলাকায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় হামলার শিকার হয় শাহিন বাবু।
বুধবার (২৩) জুলাই সকালে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, মামলায় ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এর মধ্যে ১০ জনই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। শিক্ষকরা হলো, এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ আসাদুজ্জামান, তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ মনিরুজ্জামান, কাউরাইল ইসহাক-তফের আলী টেকনিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ আসাদুজ্জামান, তাড়াশ ইসলামিয়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সালাম, তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোঃ আবু হাসেম খোকন, মঙ্গল বাড়িয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামাল নান্নু, কাউরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আইয়ূবুর রহমান, ধুলিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল হক, মাটিয়ামালিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আনিছ ও করতকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহিদ। এই শিক্ষকগণ কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। এছাড়াও মামলায় (৫৫) নম্বর আসামি করা হয়েছে মৃত রোকন ফারুকীকে (৩৫)।
এ বিষয়ে এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মামলার বাদী নওগা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহীন বাবু গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে আমাদের উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিকট থেকে চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দেওয়ায় আমাদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। চাঁদা না দেওয়া আমাদের বিরুম্বনায় ফেলার জন্য এই মামলাটি করেছেন।
মামলা বাদী নওগা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহীন বাবু বলেন, মামলায় যাদের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তাদের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করা হয়েছে। আমি এখনো অসুস্থ্য রয়েছি।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস বলেন, যদি কোন সাধারণ জনগণ বা শিক্ষক হয়রানি করার জন্য মামলায় নাম দিয়ে থাকে, যদি সেটা প্রমানিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।