স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা:
পাবনায় মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে রাসেল হোসেন (৩১) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার জাফরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাসেল ওই এলাকার নজির উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে। তবে এখনও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাসেলের মামাতো ভাই মকবুল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে রাসেলকে সন্দেহ করা হয়। এ নিয়ে তানজিল হোসেন নামের এক যুবক রাসেলকে ফোন ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু রাসেল চুরির অভিযোগ অস্বীকার করে তানজিলকে মারধর করে। পরবর্তীতে তানজিল ও মকবুলের লোকজন সংঘবদ্ধভাবে রাসেলের বাড়িতে হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনাস্থলেই রাসেলের মৃত্যু হয়।
তবে ভিন্ন দাবি করেছেন নিহত রাসেলের বড় বোন অঞ্জনা খাতুন। তিনি বলেন, “সাইফুলের পরিত্যক্ত সেমাই কারখানার কলা গাছ থেকে কলা কাটাকে কেন্দ্র করে রাসেলের সঙ্গে মামাতো ভাইদের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ থেকেই পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।”
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে জাফরাবাদ এলাকার বাতাস।