শেরপুর ,লালমোহাম্মদ কিবরিয়া :
শেরপুর নালিতাবাড়ীতে চেক জালিয়াতির মামলা দিয়ে উল্টো প্রাণ নাশের চেষ্টা করে টাকা ছিনতাই মামলার তীব্র প্রতিবাদে ১৬ মার্চ দুপুরে
সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকা নাজমুন নাহার। তিনি কালিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়র সহকারী শিক্ষক।
লিখত বক্তব্যে নাজমুন নাহার দাবী করেন,অতিসম্প্রতি নালিতাবাড়ী পৌর শহরের তোফাজ্জল হোসেন তোফা ও রূপালী ইয়াসমিন নামে তার প্রতিপক্ষ মিথ্যাচার করে সংবাদ সম্মেলন করে তার মানমযর্দা ক্ষুন্ন করেছে।
প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে নাজমুন নাহার বলেন, তোফাজ্জল হোসেনের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বেশ কিছু দিন ভাড়ায় বসবাস করেছিলেন। মালিক বাড়াটিয়ার অন্তরিক সম্পর্কের কারনে, সামছুন নাহার তোফাজ্জল হোসেনের ব্যাংক লোনের গেরন্টার হিসেবে অগ্রণী ব্যাংক কাকর কান্দি শাখার একটি একাউন্টের সাদা চেক দেন।
লোনটি পাশ না হলে সামছুন নাহার চেকটি আর ফেরত নেন নি। হারিয়েছে বা পাচ্ছি না বলে তোফাজ্জল হোসেন চেকটি ফেরত দেন নি। এ অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেন সময় ক্ষেপন করে আসছিল।
তোফায়েল ও রূপালী ইয়াসমিন তোফায়েলের শ্যালক মৃত: শফিকুল ইসলাম তারার স্ত্রী আদালতে যোগসাজশে চেক ডিজওনার মামলা দায়ের করেন।
এই অবস্থায় সামছুন নাহারে স্বামী রুকুনুজ্জামান জুয়েল ঐ ডিজওনার মামলায় আইনি মোকাবেলা করাবস্থায় গত ৬ মার্চ রুকুনুজ্জামান পৌর শহরের দক্ষিন বাজার গেলে তাকে আটকিয়ে জোরজবরদস্তি করে মারপিট করে টাকা,মোবাইল কেড়ে নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখে।
এ ব্যপারে নালিতাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পরবর্তী সময় আহত রুকুনুজ্জামান জুয়েল চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায়, চেক ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করে তোফাজ্জল রূপালী গংরা। মারপিটের ঘটনা আড়াল চেক জালিয়াতি মামলায় লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়। তাই পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তীব্র নিন্দা জানিয়ে পালটা সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক পরিবার।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে রুকুনুজ্জামান জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
উভয়ের মধ্যে নগদ টাকা পয়সা লেন-দেনের ব্যাপারে সামছুন নাহার বলেন, কিছু স্বর্নালংকার জমা রেখে সুদের উপর টাকা নিয়ে ছিলেন,তবে বন্ধক রাখা স্বর্নালংকার ফেরত নিয়ে সুদ সমেত টাকা পরিশোধ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রূপালী ইয়াসমিন একজন মামলাবাজ নারী ও ভুমিদষ্য।
বিগত সময়ে স্থানীয় অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে নারীনির্যাতন মামলা করে, টাকার বিনিময়ে আপোশ সিমাংসা ও পুলিশ অফিসার আব্দুস সবুরের সাথে পরকিয়া জড়িয়ে বিবাহ শেষে নারী নির্যাতন ও পারিবারিক আদালতের মামলায় টাকার বিনিময়ে আপোশ মিমাংসার কথা উল্লেখ করেন।
এ ছাড়াও আরও উল্লেখ করা হয়, রূপালী ইয়াসমিন নিজ গ্রাম বিশগিরি পাড়ায় বন বিভাগের সরকারি জমি জোড়পূর্বক দখল করে অবৈধ ভাবে বিল্ডিং নির্মান করেছেন।