মোঃ জালাল উদ্দীন, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ছাগলের দ্বারা ফসল ও আমবাগানের ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদ করায় আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন ৭ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ও চৌধুরী বংশীয় মো: মোহবুল হক জানান, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার ঘোষ বংশের কিছু গরু-ছাগল আমার পৈতৃক সম্পত্তির উপরের ফসল নষ্ট করে আসছে, যার ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল ফসল নষ্টের সময় ৩ টি ছাগল ধরে রাখলে ঘোষ বংশের লোকজন আমার উপরে আক্রমণ করে ছাগল ছিনিয়ে নিয়ে যায় । এরপর আমার পরিবার ও এলাকার কিছু লোকজন আমাকে উদ্ধারে আসলে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে পরিণত হয় এবং আমি সহ বেশ কয়েকজন আহত হই । সেই জেরে রাতেই তারা আমার জমির উপরের বেশ কিছু রূপালি আমের গাছ কেটে ফেলে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক ।
এসময় নষ্টকৃত আমগাছের ক্ষতিপূরণ ও সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মো: মোহবুল হক । সেই সাথে ঐ মাঠে নির্বিঘ্নে আম ও বিভিন্ন ফসল চাষের নিরাপত্তাও চান তিনি । এদিকে অপর পক্ষের ও ঘোষ বংশীয় মো: নাসির উদ্দীন আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের ছাগল আটকে রাখলে আমরা তা ফেরত চাই এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় । এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বাড়িঘরে ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েকজন আহত হওয়ার দাবী করেন নাসির উদ্দীন । কিন্তু অপর পক্ষের মোহবুল হক তা অস্বীকার করে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ তারাই করেছে এবং বিষয়টিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পরিণত করার অপচেষ্টা করলেও আসলে বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, বরং এটি দীর্ঘদিনের বংশীয় জের ।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেই ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান । এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: রবিউল ইসলাম বলেন, প্রথমত চৌধুরী বংশীয় লোকজন আমাকে মৌখিকভাবে জানালে ও মীমাংসার আশা ব্যক্ত করলে সেই প্রেক্ষিতে আমি ঘোষ বংশের সাথে যোগাযোগ করে মীমাংসার চেষ্টা অব্যহত রেখেছি । এই ঘটনার দ্রুত মীমাংসা না হলে যে কোন মুহূর্তে মারাত্মক সংঘর্ষ বাদতে এবং প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছে।