শাহ আলম জাহাঙ্গীর,কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস স্টেশন এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের বিনা অপরাধে গ্রেফতার করে শ্রমিক ও বিএনপি নেতা কর্মীদের জড়িয়ে পুলিশ ও সমন্বয়কদের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় প্রত্যাহার ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি ও ডিবি পুলিশের হয়রানি বন্ধের দাবিতে অর্ধবেলা ধর্মঘট স্বতঃস্ফ‚র্ত ভাবে পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মুরাদনগর সদর ও রামচন্দ্রপুর বাজার এলাকায় সকল প্রকার দোকানপাট ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করে ওই সকল বাজার এলাকার শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
প্রতিদিন সকালে থেকে মুরাদনগর সদরের বাজার ও রামচন্দ্রপুর বাজার লোকে লোকারণ্য থাকলেও আজ শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারনে বাজার দুইটি ছিলো ক্রেতাশূন্য।
মুরাদনগর সদরের মুদি ব্যবসায়ী জয় ভৌমিক বলেন, ৫ আগষ্টের পর সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ তার নেতাকর্মীদের দিয়ে আমাদের বাজার থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করেছেন। আমরা নিরাপদে ব্যবসা করছি। অথচ সেই বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা বানোয়াট মামলা করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা আধাবেলা ধর্মঘট পালন করছি।
বস্ত্র ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, এখন আমাদের বেচা বিক্রির মুখ্য সমন্বয়ক তবুও আমরা ধর্মঘট পালন করছি। কারন বিএনপির নেতাদের কারনেই চাঁদামুক্ত ব্যবসা করছি।
বিএনপি রামচন্দ্রপুর (উত্তর)ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাজি মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে সকাল ১০টায়নধর্মঘটের সমর্থনে বিএনপি নেতা গোলাম মহিউদ্দিন মোল্লাসহ অন্যান্য নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রামচন্দ্রপুর বাজারে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলে জসিমউদদীন রিপন, আলী হোসেন, বাবুল মিয়া, হেলাল মিয়া সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী শান্তি ভৌমিক বলেন, ব্যবসায়ীদের সুখে দুঃখের বন্ধু সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের বিশ্বস্ত কর্মী জেলা বিএনপি নেতা গোলাম মহিউদ্দিন মোল্লাসহ বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ ধর্মঘট চলছে। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস স্টেশন এলাকায় কোম্পানীগঞ্জ বাস-মালিক সমিতি বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন নিয়ন্ত্রন ও সিরিয়াল ঠিক রাখার জন্য কিছু শ্রমিক নিয়োগ দেয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় মুরাদনগর উপজেলার কিছু সমন্বয়ক সিরিয়ালের বাহিরে সিএনজি চালিত আটোরিকশা নিতে চাইলে এক লাইনমেনের সাথে ওই সমন্বয়কদের বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। পরে সমন্বয়করা ওই লাইনমেন আবুল কালামকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে পুলিশে দেয়।
পরে শ্রমিক আবুল কালামের মুক্তির দাবিতে মুরাদনগর থানার সামনে মালিক-শ্রমিক লোক জন বিক্ষোভ করলে সমন্বয়ক ও মালিক-শ্রমিক দের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও সমন্বয়ক বাদি হয়ে পৃথক দুইটি মামলা করে।