Satyajit Das (Moulvibazar Correspondent):
পবিত্র ইসলাম ধর্মের অনুশাসন ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নাহ সম্পর্কে ‘ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য’ ও ‘ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তিমূলক আচরণ’-এর অভিযোগে মৌলভীবাজারের আব্দুল মাওফিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সর্বদলীয় ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ।
রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার বরাবরও পৃথক একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়,আব্দুল মাওফিক চৌধুরী মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ হিসেবে বিবেচিত পাঞ্জাবি ও টুপি নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ও বেয়াদবিমূলক মন্তব্য করেছেন,যা সরাসরি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। এছাড়া পূর্ববর্তী প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনি একদিন আগে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে মুসলিম সমাজে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে একাধিকবার ইসলামবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়,“আল্লাহর রাসূলের সুন্নাতকে যারা তুচ্ছ করে, তারা ইসলামি শারিয়ত ও রাষ্ট্রীয় আইনের বিরুদ্ধাচরণ করছে। এমন কর্মকাণ্ড শুধু ধর্মীয় মূল্যবোধ নয়,সমাজে সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলাও হুমকির মুখে ফেলে।”
স্মারকলিপির সাথে কুরআনের আয়াত তুলে ধরে বলা হয়: “আর যে ব্যক্তি তার সামনে হিদায়াত স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে ও মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য কোনও পথ অনুসরণ করবে, আমি তাকে সেই পথেই ছেড়ে দেব, যা সে অবলম্বন করেছে। আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব,যা অতি মন্দ ঠিকানা।” (সূরা নিসা: ১১৫)
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন;সর্বদলীয় ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা আহমদ বিলাল,সদস্য সচিব হাফিজ আলাউর রহমান টিপু,মাওলানা জামিল আনসারী,মাওলানা আব্দুল হক,মাওলানা আকিল উদ্দিনসহ জেলার বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরাম।
মাওলানা আহমদ বিলাল বলেন,“তিনি (আব্দুল মাওফিক) শার্ট পরে, টুপি ছাড়া, ঘরোয়া পরিবেশে ঈদের জামাত আয়োজন করেন এবং প্রকাশ্যে বলেন টুপি ও পাঞ্জাবি ইসলামে নেই— যা এক ধরনের কটাক্ষ। অথচ টুপি নবীজির সুন্নাহ। এটা ইসলাম ও সাহাবায়ে কেরামের চর্চিত পোশাক।”
তিনি আরও জানান,”আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের অবস্থান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”
উল্লেখ্য,অভিযুক্ত আব্দুল মাওফিক চৌধুরী মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউজ এলাকার বাসিন্দা।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।