প্রেমের সম্পর্ক থাকার সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কারও সঙ্গে যৌনকর্ম করলে তা আর ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হবে না। এ ধরনের যৌনকর্মকে আলাদা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজা দেওয়া হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে এমন বিধান করতে যাচ্ছে সরকার।
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সাজা সাত বছর রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন সংশোধন আইন পাস করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই আইন পাস করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
দেশে ধর্ষণের ঘটনা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করতে খসড়া করে করে আইন ও বিচার বিভাগ। ১৭ মার্চ উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। অংশীজনদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করে খসড়াটি পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছিল উপদেষ্টা পরিষদ। এরপর খসড়া চূড়ান্ত করে আইন ও বিচার বিভাগ।
আইন সংশোধন করে ধর্ষণের মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমানো এবং ধর্ষণসহ নারী ও শিশুর ওপর সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসেবে অর্থদণ্ডের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব রেখে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। অপরাধের ধরনভেদে অর্থদণ্ডের পরিমাণ কী হবে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনার পর সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিচারক চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সনদের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলার বিচার ও তদন্তকাজ চালাতে পারবেন। এবং ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে যাঁকে নির্দিষ্ট করা হবে, তাঁকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ করতে হবে বলে চূড়ান্ত খসড়ায় বলা হয়েছে।