Pirojpur Correspondent:
মোগো যাওয়ার যায়গা নাই, বিচার না পাইলে মোরা মইরা যামু, ওরা মোর পোলাডারে মামলা দিয়া বাড়ি থেইকা খেদাইছে এভাবে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন বিধবা আরেফা বেগম (৬৫)। সোমবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর কলারণ গ্রামের মৃত আঃ রহমান হাওলাদারের স্ত্রী আরেফা বেগম ও পুত্রবধূ কলি বেগম তাদের উঠানে একটি মুরগির ঘর নিমার্ণ করছিল।
এসময় প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান তার স্ত্রী হাওয়া বেগম ও নাতি মোঃ আরিফ তাদের উপর হামলা করে মুরগির ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে এবং গৃহবধূ কলি বেগম ও তার শাশুড়িকে মারধর করে তার শরীরে থাকা পোষাক ছিড়ে ফেলে। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ওই পরিবারটির উপর তারা অত্যাচার, মামলা-হামলা করে আসছে। পরিবারটিকে উচ্ছেদ করার জন্য তারা একাধিক বার তাদের উপর হামলা করেছে।
এছাড়াও বিধবা আরেফা বেগমের একমাত্র ছেলেকে মামলায় ফাসিয়ে বাড়ি ছাড়া করেছে। পরিবারটি হতদরিদ্র হওয়ায় তারা অভিযুক্তদের সাথে কোন ভাবেই প্রতিবাদ করতে পরছে না। বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও পায়নি সঠিক বিচার। বিধবা আরেফা বেগম একটি জড়াজীর্ণ ঘরে পুত্রবধূ ও ৪ নাতি-নাতনীকে নিয়ে অনাহারে-অধার্হারে দিন কাটাচ্ছে। তাদের পাশে দাড়ানোর মত একজন মানুষও নেই।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী বিধবা আরেফা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ভিটা ও আমাদের ক্রয়কৃত জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। তারা ক্ষমতাশালী হওয়ায় আমরা কারও কাছে গিয়ে বিচার পাই না। এখন যদি সঠিক বিচার না পাই তাহলে আমরা মইরা যামু। কারণ আমাদেরতো যাওয়ার কোন জায়গা নেই। আমার স্বামীও ওদের অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান বলেন, আমার জায়গায় তার মুরগির ঘর বানাতে গেলে আমি তাদের বাধা দেই এবং ঘরটি সরিয়ে ফেলি।
চন্ডিপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান বলেন, হতদরিদ্র বিধবার পরিবারটিকে দীর্ঘদিন ধরে হাবিবুর রহমান উচ্ছেদ করার চেষ্টা করতেছে। হাবিবুর রহমান কোন শালিস-বিচার মানে না।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন জানান, শাশুড়ি ও গৃহবধূকে মারধরের বিষয় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তে সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Message sender
Syed Bashir Ahmed