মোঃ সায়েদুর রহমা, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জ শহরে বিভিন্ন স্থানে অভিভাবকহীন অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপরকারী,ঝুকিতে থাকা,ড্যান্ডি নেশাগ্রস্থ ৬ জন শিশুকে উদ্ধার ও পূনর্বাসনে জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্যে সম্মাননা পেয়েছেন মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব,বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক,দৈনিক নয়াদিগন্তের জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহানুর ইসলাম।
আজ রোববার জেলা মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মিলনায়তনে জেলা আইন-শৃংখলা মিটিং এ জেলা প্রশাসক (যুগ্ন সচিব)ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লা,পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন ,১১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল এরশাদ হোসাইন চৌধুরী পিএসসি এ প্রশংসাপত্র শাহানুর ইসলামের হাতে তুলে দেন।এ সময় ডিডিএলজি সানজিদা জেসমীন, এডিএম মোঃ নাজমুল হাসান খান,সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আঃ বাতেন ,জেলার বিভিন্ন সরকারি বিভাগের প্রধানগন,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জেলা নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক,ছাত্র প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় একই কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ এনডিসি মোঃ আহসানুল হক,সদর থানার ওসি এস এম আমানুল্লাহ্ ও ঘিওর উপজেলা সমাজসেবা ও প্রবেশন কর্মকর্তা জয় কৃষ্ণ কে সম্মাননা পত্র তুলে দেয়া হয়।
গত ২৭শে মার্চ রাতে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৬ জন পথ শিশুকে ড্যান্ডি নেশা করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে সাংবাদিক মোঃ শাহানুর ইসলাম তাদের উদ্ধারের জন্যে জেলা প্রশাসক ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লাকে ফোনে বিষয়টি অবগত করেই সদর থানায় চলে যান। থানায় ওসি এসএম আমানুল্লাহকে ফোর্সসহ নিয়ে তাদের উদ্ধার করে সদর থান্য়া নিয়ে আসেন। এসময় শিশুগুলো নেশাগ্রস্থ ও অসুস্থ ছিলো।পরে জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও সদর থানার ওসির প্রচেষ্ঠায় রাতেই তাদের সদর হাসপাতাল হতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।পরে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে তাদের ঢাকায় অভ্যর্থনা ও সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত পক্ষ হতে প্রত্যেক শিশুকে ২ সেট করে নতুন পোষাক ও ব্যাগ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য যে,অভিভাবকহীন এই শিশুগুলো দীর্ঘ দিন যাবত মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ড্যান্ডি নেশা করতো এবং অতি সম্প্রতি ছোট খাটো চুরি সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মে যুক্ত হতে থাকে।তাদের উদ্ধার করে পূর্নবাসনের সিন্ধান্ত নেয়া হলেও বিভিন্ন কারনে তাদের উদ্ধার করা যাচ্ছিল না।পুলিশ বা সরকারি লোক আসছে শুনলেই তারা পালিয়ে যেত।নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নোংরা জীবন যাপন করতো।
একটি সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় তাদের পূর্নবাসন প্রক্রিয়ায় নিতে পেরে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন সহ মানিকগঞ্জবাসী খুশি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন,একটা বৈষম্যহীন অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্যে সমাজের সকল শিশুকে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান রাষ্ট্রের দায়িত্ব।আমাদের অনেক সীমবদ্ধতা সত্বেও আমাদের আন্তরিকতা আর দেশ প্রেম থাকলে আমরা যে কোন কাজই সফল ভাবে করতে পারি।
আমাদের এ শিশুগুলো শুধু পথশিশু নয় ,তারা আমাদেরই সন্তান। আমাদের সবাইকে এধরনের শিশুদের পাশে দাড়াতে হবে।আর যারা এধরনের ভালো কাজের সাথে যুক্ত থাকে তাদের কে আমরা উৎসাহ দিলে আরো অনেকেই এমন ভালো কাজে যুক্ত হবে।
সাংবাদিক শাহানুর ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন,আমরা মানবিক কারনে,হৃদয়ের ভালবাসার কারনে এ শিশুদের উদ্ধারে এগিয়ে গিয়েছি।কোন পুরস্কার বা সম্মাননা চিন্তাও করি নাই। তবে তারপরও জেলা প্রশাসন যেটা করেছে তার জন্যে তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।