Staff Reporter:
পিরোজপুরের নাজিরপুরে নিজের ছেলের বৌকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শ্বশুরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই শশুরের নাম তোরাব আলী শেখ (৬৫)। সে নাজিরপুর উপজেলার শাখারীকাঠী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড উত্তর বুড়িখালি চালিতাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, একই উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের জনৈক ভ্যানচালক ব্যক্তির মেয়ে মুসলিমা নামে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়, তোরাফ সেখের ছেলে আবু সাঈদ শেখের সাথে । তাদের বিয়ে হয় ৬ মাস আগে। বিয়ের পরে ওই স্ত্রী মুসলিমাকে বাড়িতে রেখে ছেলে আবু সাঈদ শেখ চট্টগ্রামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করার উদ্দেশ্যে চলে যায়। বাড়িতে থাকত শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ওই মেয়ে মুসলিমা। হঠাৎ করে গত মাসে ১৭ রোজার পরে মুসলিমার শাশুড়ি শশুরকে এবং মুসলিমাকে বাড়িতে রেখে চট্টগ্রামে ছেলের কাছে চলে যায়। এই সুযোগে শশুর কর্তৃক পুত্রবধুকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ যেন আই এম এ জাহেলিয়াতের যুগকেও হার মানিয়েছে। আর এ ঘটনা এখন নাজিরপুর উপজেলা সহ সব এলাকাজুড়ে টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।
ধর্ষনের স্বীকার পুত্রবধুর মা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে নাজিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে শশুর তোরাব আলী শেখ (৬৫) পলাতক রয়েছে। তোরাব আলী উপজেলার ৫ নং শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বুড়িখালী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ শেখের পুত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ওই অভিযুক্তর ছেলের সাথে, ৬ মাস পূর্বে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘুমের ঔষধ খাইয়ে শশুর ধর্ষন করে।
গতকাল ৯ এপ্রিল বিকালে নাজিরপুর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষিতার মা মোসা: আফরোজা খানম ধর্ষকের বিচার চেয়ে বলেন, ঘুমের ঔষধ খাইয়ে,আমার মেয়েকে ধর্ষন করেছে ওর শশুর লম্পটটা।
ধর্ষিতার বড় ভাই সাগর জানান, এটা একটি নিন্দনীয় কলঙ্কজনক বিষয় গোটা পুরুষ জাতীকে কলঙ্ক করেছে, বিষয়টি জেনে আমার বোনকে আমি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছি,আমি এর বিচার চাই ওর যেন সঠিক ভাবে কঠোর বিচার হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: অশেষ প্রতিম রায় বলেন,নাজিরপুরের বুড়িখালী গ্রাম থেকে গতকাল বিকেলে এক তরুনী ধর্ষনের অভিযোগ নিয়ে ভর্তি হন,ধর্ষনের আলামত আছে কিনা এর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমরা তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনাচার্জ (ওসি) মো: মাহামুদ আল ফরিদ ভ‚ঁইয়া জানান, এধরনের একটি ঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি, আসামী গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।