Sadrul Law:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রদের বিজয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করেছে। এটি জাতির ইতিহাসের একটা যুগান্তকারী ঘটনা।
এই ঘটনা একটি পরিবর্তনমুখী উত্থানের প্রতিধ্বনি। এই বিজয় সামষ্টিক উদ্যোগের শক্তি এবং তারুণ্যের হার না-মানা চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। ছাত্র জনতার এই আবেগ, সংকল্প ও ন্যায়বিচারের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতি আবারও প্রমাণ করেছে, ছাত্ররাই পরিবর্তনের জন্য অনিবার্য একটি শক্তি।
ছাত্র আন্দোলনই এই গর্বিত ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী, যারা বারবার ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দিয়েছেন।
নেতৃত্বের গুণাবলী সবার মধ্যে থাকে না। একজন প্রকৃত নেতা তিনিই যিনি কর্মীর মনের ভাষা পড়তে পারেন, চোখের দিকে তাকালেই কর্মীকে বুঝতে পারেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন কর্মীর নামও স্মরণ রাখতে পারেন। শুধু সংগঠন নয়, কর্মক্ষেত্রেও নেতা ও কর্মীর পার্থক্যটি খুব সহজেই চোখে পড়ে। নেতা বলতে চোখে ভেসে ওঠে এমন এক ব্যক্তির কথা, যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন পুরো কর্মপ্রক্রিয়া।
তিনি একদিকে যেমন কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেন, অন্যদিকে কর্মীদের কথা শোনার দায়িত্বটিও তাঁর কাঁধেই বর্তায়। তিনি কর্মীদের স্বপ্ন দেখান ঠিকই, কিন্তু আগে স্বপ্নটি দেখতে হয় নেতাকেই। এমনই একজন স্বপ্নবাজ তরুণ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
যিনি রাজপথের লড়াকু সৈনিক, সুদর্শন, বলিষ্ঠ কণ্ঠের অধিকারী, সাহসী নেতৃত্বের আপোষহীন নেতা, জুলাই বিপ্লবের বলিষ্ঠ সহযোদ্ধা, দক্ষ সংগঠক, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মুখ্য সংগঠক মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
ইতোমধ্যে তিনি নিজ উপজেলা শ্রীপুরসহ সারাদেশে তুখোড় রাজনৈতিক বক্তা হিসেবে সর্বমহলে বেশ পরিচিত মূখ। জাতীয় নাগরিক পার্টির অন্যান্য সর্বোচ্চ নেতাকর্মীদের মতোই নিজস্ব কার্যক্রমের মাধ্যমে সকলের মনে স্থান করে নিয়েছেন।
যার ফলে রাজনৈতিক ভাবে আত্মপ্রকাশের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। নিজ কর্মদক্ষতার মধ্যে দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন নেতাকর্মীদের মনে। প্রতিনিয়ত সাংগঠনিক ভাবে নিঃস্বার্থ ও অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন দলকে এগিয়ে নিতে।
সুদর্শন, হাস্যোজ্জ্বল, সুবক্তা হিসেবে অল্পদিনেই সবার দৃষ্টি কাড়তে সমর্থ হয়েছেন মেজর (অবঃ) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। সম্প্রতি কয়েকটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি ও অত্যন্ত আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গিতে দেওয়া বক্তৃতা সবার নজর কেড়েছে।
রাজনীতি সচেতনরা মনে করছেন, তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর আলোচনার বিষয়বস্তু ও নির্ভেজাল উপস্থাপন যে কাউকেই মুগ্ধ করে।
তৃতীয় প্রজন্মের এই নেতাকে ইতোমধ্যে গাজীপুর ৩ এর জনগণ বরণ করে নিয়েছে নিজেদের সন্তান হিসেবে। নিজ এলাকায় তার উপস্থিতি নেতা-কর্মী ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে আশার সঞ্চার করছে। তিনি অত্যন্ত নিরহংকারী ও সদালাপী।
নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন, তাদেরকে নিজের করে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই আগামী দিনে তাকে গাজীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় তরুণ ও ভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থকরাও।
যুগে যুগে তরুণেরা তাদের নেতৃত্বের গুণে কাঙ্ক্ষিত ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। মেজর (অব:) মাহমুদ রাজনীতিতে আসায় তরুণদের মাঝে কাজের উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে। এসেছে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণ-চাঞ্চল্য। শ্রীপুরের সন্তান হিসেবে তিনি অতি আপন হিসেবে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন।
যার ফলে গাজীপুর ৩ এর সকল মানুষের কাছে জাতীয় নাগরিক পার্টির নাম মুখে মুখে। এলাকাবাসীর ভাষ্য মেজর অব: মাহমুদ এর মত সৎ, নির্ভেজাল, নিরহংকারী, সুদর্শন ও মেধাবী সাবেক সেনাকর্মকর্তা এই অঞ্চলের সেবক হলে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
তরুণ প্রজন্মের নেতা মেজর (অব:) মাহমুদ এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ গাজীপুরের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও। তার সারগর্ভ বক্তব্য সবাইকে অবাক করেছে। সুদর্শন চেহেরা ও নিরহংকার চলাফেরা যা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
পিতা আবুল কালাম আজাদ (বাচ্চু) কাঁইয়া ছিলেন এলাকার একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয়। এমন পিতার রক্ত যার গায়ে সে কখনও উপকার ছাড়া ক্ষতি করবে না সাধারণ মানুষের ধারণা। ব্যবহারে বিনয়ী, স্পষ্টবাদী হওয়ায় গাজীপুরবাসী তাকে ইতোমধ্যে সাদরে গ্রহণ করেছেন। নিজস্ব দায়িত্ববোধ ও এলাকার সন্তান হিসেবে রাজনীতিতে এসেছেন তিনি। তাই তার আগমন ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে নিজ মাতৃভূমি শ্রীপুরের আপামর জনগণ।
জন্ম ১৯৯০ সাল, দুই ছেলে সন্তানের জনক মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর পিতা মৃত আবুল কালাম আজাদ (বাচ্চু) কাঁইয়া ছিলেন পোশাক শিল্পের কর্মকর্তা। মাতা শাহনাজ পারভীন গৃহিণী। শ্রীপুর উপজেলার বরমীর সম্ভ্রান্ত মুসলিম কাঁইয়া পরিবারে জন্ম তার।
শৈশবের দুরন্ত ও কৈশোরের মেধাবী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পড়াশোনা:
বিবিএ: বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস- মিলিটারি সাইন্স। এমবিএ- নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি – হিউমান রিসোর্স (ম্যাগনা কামা লাউডে অ্যাওয়ার্ড উইনার ভালো রেজাল্ট এর জন্য)। এক্সেলেরেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম- হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, অনলাইন প্রোগ্রাম- লিডারশিপ প্রিন্সিপাল সাবজেক্ট- যা একটি বহুজাতিক কোম্পানি স্পনসর করেছে।
দক্ষ সামরিক প্রশিক্ষণের বাইরে প্লাটুন কমান্ডার্স বেসিক কোর্স- যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ, লিডারশিপ ট্রেনিং- কোচহাব, জার্মানি। সার্টিফাইড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার কোর্স- ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেন এলুমনি এসোসিয়েশন, যুক্তরাষ্ট্র- বাংলাদেশ চ্যাপ্টার থেকে ২য় অবস্থান। M3 মেন্টরিং- ইন্টারন্যাশনাল মেন্টরিং প্রোগ্রাম এ অংশগ্রহণ করেছেন ।
তিনি ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীতে জয়েন করেন ও ২০১০ সালে পদাতিক বাহিনীর অফিসার হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত হন। মেজর অব: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন অফিসারদের বিভিন্ন কোর্সে অত্যন্ত উঁচুমানের ফলাফল অর্জন করেন।
সৈনিকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই কর্মকর্তা ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন, যার প্রমাণ ২০১৩ সালে ঠাকুরগাঁও এর বলিয়ডাঙ্গীতে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তার ইস্পাতদৃঢ় অবস্থান ।
তৎকালীন জেনারেল আজিজ এর রোষানলে পড়ে ২০১৯ সালে চাকরি থেকে অকালীন অবসর নিতে হয় । আশার কথা হলো, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী কর্তৃক গঠিত এক উচ্চ পদস্থ বোর্ডের মাধ্যমে উনার প্রাপ্য সম্মান ফেরত দেয়ার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে নিশ্চিত সূত্রে জানা যায়।
বর্তমানে একটি বৈশ্বিক কোম্পানিতে ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। অতি উচ্চ বেতন ও সম্মানের চাকরি থেকে রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের সেবা করার পথ বেছে নেন তিনি।
আমরা মনে করি নেতৃত্ব একটি শিল্প। একজন নেতাকে সৎ ও আত্মসচেতন হতে হয়। সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের গুণে কুসংস্কার ও সামাজিক অনাচারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারে সমাজ। আর নেতৃত্ব বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
এ ছাড়া প্রয়োজন রয়েছে সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরও। এই সকল দিক বিবেচনা করলে মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ একজন কর্মীবান্ধব যোগ্য নেতা। যার দক্ষ দিকনির্দেশনায় জুলাই বিল্পব পেয়েছিল অনন্য মাত্রা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মুখ্য সংগঠক মেজর (অব:) মাহমুদ এর মতে তরুণরাই আমাদের জাতিসত্তার আগামীর সম্ভাবনা। তাদেরকে আমরা প্রচণ্ড ভালোবাসি। যদি প্রতিটি স্তরে তাদেরকে নিরাপদ ভাবে গড়ে তুলি, বাস্তবতার আলোকে প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি তাহলে তারাই হবে আমাদের অমূল্য সম্পদ।
তাদেরকে বিশ্বজনীন ভাতৃত্বের শিক্ষা দিতে হবে। চিন্তা জগতে মূল্যবোধ তৈরিতে ছোটবেলা থেকেই নৈতিকতার ভাবধারায় গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আমরা একটি দুর্নীতি পরায়ন জাতি হিসেবে ভবিষ্যতে আর আমাদেরকে গ্লানি টানতে হবে না।
তরুণদেরকে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারলে তারাই হবে আমাদের সোনার বাংলার কাণ্ডারী।