(Joypurhat) District Representative:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সরকারি সভাকক্ষে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের নামে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী ও সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল বারী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনে বিএনপি দলীয় এমপি প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান, সাবেক সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি প্রভাষক আব্দুল আলিম, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রনেতা মতিয়র রহমান বাঁধনসহ বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
তবে প্রশাসনিক অফিসের সভাকক্ষে একজন রাজনীতিকের এমন নির্বাচনী কার্যক্রমে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সরকারি স্থাপনায় রাজনৈতিক সভা আয়োজনের বৈধতা নিয়েও স্থানীয় সচেতন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল বারী বলেন, “সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় করেছি। সেখানে কোনো ধরনের প্রচারণা হয়নি, আমি শুধু উপস্থিত ছিলাম।”
অন্যদিকে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, “ডিসি বারী সাহেব আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন, আমরা শুধু গিয়েছি। এই আয়োজন আমরা করিনি।”
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, “তিনি একজন সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে আমার অনুমতি নিয়ে আমার রুমে বসেছিলেন। আমি তাঁকে সভাকক্ষে বসার অনুরোধ করেছি। সেখানে কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম হয়নি।”
তবুও, সরকারি অফিস কক্ষে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের এ ধরনের উপস্থিতি ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা আয়োজন প্রশাসনিক বিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।