চীনে চিকিৎসাসেবা নিতে বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা ছেড়েছে। এ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকার চীনা দূতাবাস। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন বলেন, “চীনে বাংলাদেশের রোগীরা চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি রোগীরা খুব সহজেই চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।” তিনি আরও যোগ করেন, “চলতি বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। ফলে দুদেশের জনগণের মধ্যে আমরা সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহী। কুনমিংয়ে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার মধ্য দিয়ে দুদেশের সম্পর্ক আরও বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।”
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশের রোগীদের প্রথম ব্যাচকে চীনে পাঠাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা জানি বাংলাদেশের রোগীরা চিকিৎসার জন্য নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। সে কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এ উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশিরা চীনে খুব সহজেই উন্নতমানের চিকিৎসা নিতে পারবেন।”
চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ৩১ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি ঢাকা ছেড়েছে। প্রতিনিধিদলে ১৪ জন রোগী, ছয়জন রোগীর পরিবারের সদস্য, পাঁচজন চিকিৎসক, পাঁচজন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধি এবং একজন সাংবাদিক রয়েছেন।
চীনের ইউনান প্রদেশের তিনটি শীর্ষ পর্যায়ের হাসপাতালকে বিশেষভাবে বাংলাদেশি রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সেখানেই রোগীরা চিকিৎসা নেবেন। রোগীরা যেন সহজে ভিসা পান, সে উদ্যোগও নিয়েছে চীন সরকার।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ফেব্রুয়ারি মাসে চীন সফরকালে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সে দেশের নীতি নির্ধারকদের অনুরোধ জানান। এ পরিপ্রেক্ষিতে চীনে বাংলাদেশি রোগীরা চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন।
চীনে চিকিৎসাসেবা নিতে বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল পাঠানোর এই উদ্যোগ দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করবে। এটি বাংলাদেশি রোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, যার মাধ্যমে তারা উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। আশা করা যায়, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।