মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিদি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সালিকাদহ এলাকায় করতোয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু তোলা বন্ধে অভিযান চালালেন ইউএনও, ওসি। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। এসময় বালু উত্তোলনের একটি ড্রেজার ধ্বংস এবং এজাহার ইসলাম (২৫) নামে এক বালু উত্তোলন কারীকে আটক করা হয়।
আটক এজাহার উপজেলার বলগাড়ি শালিকাদহ এলাকার তৌহিদুর ইসলামের ছেলে। পরে তাকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন দায়ী দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু তোলা হচ্ছে এমন খবর পায় উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসের অভিযানের খবর পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান চক্রটির বেশ কয়েকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে তোলা হচ্ছে বালু। নদীর মাঝে প্লাস্টিকের ট্রাম দিয়ে ভেলা তৈরি করে আবার নদীর পাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে। সারি সারি পাইপের মাধ্যমে উত্তোলন করা বালু স্তুপ করে রাখা হচ্ছে নদী পাড়ের বিশাল এলাকা জুড়ে।প্রশাসন আসার খবর পেয়ে ড্রেজার মেশিন বন্ধ করে নদীর ওপারে চলে যান ওই চক্রের সদস্যরা। যাবার সময় তারা আর দুটো ড্রেজার মেশিন নদীর পানির মধ্যে ডুবে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে যত্রতত্র বালু তুলছে কয়েকটি চক্র। এলাকাবাসীর অভিযোগ বালু তোলার কারণে ধসে পড়ছে নদীর তীর। অনেকে হারিয়েছেন ফসলি জমি। কেউ বাঁধা দিলে আসে হুমকি ধামকি। ফলে কেউ কথা বলতে চাইলেও ভয়ে কেউ বলতে পারেন না।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক কালবেলা বলেন, এলাকাটি দূর্গম, এই সুযোগে কয়েকজন ব্যক্তি নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করেন। এর আগেও কয়েকবার সেখানে অভিযান চালানো হয়েছিল। আজকে সেখানে অভিযান চালিয়ে একজন আটক ও একটি বালু তোলা ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমরা সেখানে কয়েকবার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হই। যাওয়ার সময় তারা খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে দুই মাসের বিনাশ্রম সাজা ও একটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। এই অভিযান চলতে থাকবে বলে তিনি জানান।