নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মো: ছোটন তার মুখের কথা শুনলে কেউ বিশ্বাসী করবে না কতটা অসুস্থতায় দিন পার করছে এই গার্মেন্টস কর্মী ছোটন(৩৫ নামের যুবক টি। তবে হাত ও পায়ের অবস্থা দেখলে যে কেউ অবাক হবেন। এত সুন্দর একটি যুবকের কি একটা অজানা কঠিন রোগে কত কস্টের দিন পার করছে। ছোটনের পুরো শরীর অকেজো হয়ে গেছে। গত দুই তিন মাস আগেও তিনি সাইকেল নিয়ে এলাকায় ঘুরাঘুরি করতো ডাক্টারের কাছে যেতে পারতো নিজেই। তবে এখন কয়কে মাস থেকে ছোটনের মাথা ও ঘাড় বাদে পুরো শরীর দিন দিন আরো খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে।

পরিবারের লোক জনের সহযোগিতা ছাড়া নিজে থেকে পারছে না কোন কিছু করতে।পারছে না নিজে খাওয়া দাওয়া করতে বা নিজে থেকে উঠে দাড়াতে। দিন যতই যাচ্ছে ছোটনের শরীরের অবস্থা আরো বেশি খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় স্ত্রী মেয়ে সন্তান কে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করলেও অসুস্থ বাবা,মাকে নিয়ে ছোটন খেয়ে না খেয়ে দীর্ঘ ৮ মাস থেকে দিন পার করছেন।অপর দিকে পরিবারের যা কিছু ছিল সব বিক্রি করে চিকিৎসা করেও কোন লাভ হয়নি। ঢাকা সহ দেশের নামাদামি হাসপাতালের ২৫/৩০ জন বড় বড় ডাক্টারের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন পরিক্ষা নিরীক্ষা করেও কোন ডাক্টার এখনো পর্যন্ত ছোটনের শরীরের রোগ ধরতে পারছে না। ছোটন রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগা ইউনিয়নের উসধারী গ্রামের সাদেক হোসেনের ৫ মেয়ে ও চার ছেলের মধ্যে সবার ছোট।
ছোটন ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে সুপার ভাইজারের চাকরি করে স্ত্রী ও ১০ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান এবং বৃদ্ধ মা বাবার পরিবারের ভরণপোষণ চালাতো।একদিন কাজ করতে করতে হঠাৎ করেই ছোটন তার শরীরে কোন শক্তি পাচ্ছে না বেভে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। অনেক চিকিৎসক তাকেই পরামর্শ দিয়েছেন বড় ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা নিতে কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। এখন পরিবারের সহায় সম্বল সব বিক্রি করেও তার চিকিৎসার টাকা যোগার হচ্ছে না তাই ছোটন সহ তার মা বাবা সরকার ও এলাকার বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন। বিত্তবানদের একটু সহযোগিতা পেলেই হইতো বিদেশে চিকিৎসা করে ছোটন সুস্থ হয়ে পরিবারের হাল ধরতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
ছোটনের বাবা সাদেক বলেন আমরা সব শেষ করে ফেলেছি আমার ছেলের চিকিৎসা করে এখন প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছি।আমার ছেলের জন্য আপনাদের কাছে সাহায্য চাই তাকে বাচাতে অনেক টাকার প্রয়োজন আপনারা আমার সন্তান কে একটু সহযোগিতা করুন।সে ছাড়া এই পরিবার টা অচল হয়ে যাচ্ছে।
পাশ্ববর্তী এলাকার পল্লি চিকিৎসক রেজাউল করিম রেজা, মঞ্জুর আলম,সহ আরো অনেকে বলেন,ছোটন এলাকার ভালো ছেলে সে ছোট থেকেই অনেক পরিশ্রমী, ছোটন ছাড়া তার পরিবারের হাল ধরার মতো আর কেউ নেই।তাই আমরা যদি তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করি তাহলেই হইতো আবার নতুন করে ছোটন তার বাবা মা সহ পরিবারের হাল ধরতে পারবে। তার বাবা মা নিজেরাও অসুস্থ।তাই আসুন আমারা সকলেই ছোটনের পাশে দাড়াই তার চিকিৎসার জন্য একটু সহায়তার হাত বাড়ায়।
অসুস্থ ছোটন বলেন,আমি আগে অনেক ভালো ছিলাম প্রায় ১৩/১৪ মাস আগে হঠাৎ করেই গার্মেন্টসে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং হাত পায়ে কোন শক্তি পাই না। এতে করে বড় বড় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়েছি কিন্তু কেউ কোন রোগ ধরতে পারছে না। তাই চিকিৎসক আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে বলেছে আল্লাহ চাইলে তিনি আমাকে সুস্থ করতেও পারেন। এজন্য আমার অনেক ৭/৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে আমার যা কিছু ছিল তাই দিয়ে চিকিৎসা করেছি কিন্তু দিন দিন বেশি খারাপের দিকে চলে যাচ্ছি। সরকারসহ এলাকার বিত্তবান মানুষদের কাছে আমি একটু সহযোগিতা চাই আপনাদের এই সহযোগিতা পেলে হয়তো আমি আবার পরিবারের হাল ধরতে পারবো