আতাউর রহমান কাওছার, ওসমানীনগর(সিলেট)প্রতিনিধি
সিলেটের ওসমানীনগরে সরকারি রাস্তার কাজে আসা বরাদ্ধের টাকায় মালিকানা জমি থেকে মাটি নিয়ে নিজের বাড়ী ভড়াটের অভিযোগ উঠেছে উমরপুৃর ইউনিয়নের দুই ইউ সদস্যের বিরোদ্ধে। অভিযোক্ত ইউপি সদস্যের নাম আব্দুস শহীদ ও সদস্যার নাম জেসমিন বেগম। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জমির মালিক প্রবাসী ছাদ আলী পক্ষে উমরপুর ইউনিয়নের মজিদপুর মৃত জমসেদ আলীর পুত্র দবির উদ্দিন তার প্রতিকার চেয়ে ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রাম ও রসিদপুর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে আসা সরকারি বরাদ্ধের টাকা দিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তার কাজ না করে ইউপি সদস্যা জেসমিন বেগমের যোগসাজসে ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ রাস্তার উন্নয়ন কাজের নামে নিজের নতুন বাড়ী ভরাট করা শুরু করেন। সেই বিষয়টি জমির মালিক ও মালিকদের প্রতিনিধির নজরে আসলে ইউপি সদস্য আব্দুস শহিদ বাড়ীতে ভরাট করা মাটি তড়িগড়ি করে রাস্তায় ফেলা শুরু করেন। এতে জমির মালিক ও জনসাধারনরা ক্ষিপ্ত হলে অভিযোক্ত ইউপি সদস্য ও সদস্যা রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় জমির মালিকদের পক্ষে মজিদপুর গ্রামের মৃত জমসেদ আলীর পুত্র দবির উদ্দিন চলতি মাসের (৯ এপ্রিল) সরকারী বরাদ্ধের টাকা আত্মসাৎ করে ব্যক্তিগত বাড়ী ভড়াট সহ অন্যত্র মাটি বিক্রির অভিযোগে এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জয়নাল আবেদীনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে দাখিল করা লিখিত অভিযোগটির প্রতিকারে উপজেলা পরিষদ এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন ভোক্তভোগীরা।
জমির মালিকরা অভিযোগ করে বলেন,গামীণ সড়ক উন্নয়নের কাজে পাশের জমি থেকে মাটি আনার কথা থাকলেও ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ এক মৌজার মাটি নিয়ে আরেক মৌজার রাস্তা নির্মানের অজুহাতে নিজের বাড়ীর ভিটা ভড়াট করা শুরু করেন। তাও সরকারী বরাদ্ধের টাকা আত্মসাৎ করে। এছাড়া ইউপি সদস্যা জেসমিন বেগমের যোগসাজসে ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ বিভিন্ন সময় সরকারী রাস্তা উন্নয়নের নামে উর্বর কৃষি জমি থেকে “ভেকো গাড়ী” দিয়ে মাটি কেটে-কেটে অন্যত্র বিক্রি করে আসছেন। তাদের অব্যাহত অনিয়মের বিরোদ্ধে এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছে এবং সরকারী অনেক জাগয়া আব্দুস শহীদের দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
তবে ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন,জমির মালিকদের সাথে কথা বলে রাস্তার কাজে মাটি নিয়ে আসছিলাম,তাদের বাধায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে উমরপুর ইউনিয়নের প্রশাসক ও সহাকরী কমিশনার(ভূমি) শাহনাজ পারভীন বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি নজরে আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রতিদিন আমার কাছে অনেক অভিযোগ আসে, অভিযোগের ধরন বুঝে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমি পৌছে দেই। তারাই ব্যবস্থা নেয়।