ফরিদপুরপ্রতিনিধি:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে চাচাশ্বশুরের লালসার শিকারে ধর্ষিত হয়েছে ভাতিজা হাফিজার মল্লিকের স্ত্রী সাগরিকা বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূ।
ধর্ষক নান্নু মল্লিক (৪০) উপজেলার বানা ইউনিয়নের বেলবানা গ্রামের মৃত-পাচন মল্লিকের ছেলে।
থানায় এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর স্বামী মোঃ হাফিজার মল্লিক গত ৩ বছর পূর্বে সৌদি আরবে চাকরি করেন। স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে ধর্ষক নান্নু মল্লিক বিভিন্ন ভাবে ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ওই নারী আনুমানিক রাত ১১:৩০ মিনিটের সময়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে গেলে এই সুযোগে ধর্ষক নান্নু মল্লিক ঘরের দরজা খোলা পেয়ে শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে নান্নু মল্লিক ওই গৃহবধূর ডান হাত দিয়ে মুখ চেপে খাটের উপর ফেলে দেয় এবং তাহার বাম হাত দিয়ে পরনের ছেলোয়ার জোর পূর্বক টেনে খুলে ফেলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
মহিলাকে ধস্তাধস্তির মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্ষণের একপর্যায়ে পাশের ঘরে থাকা মহিলার দেবর ঔ ঘরের মধ্যে কিছু একটা ঘটছে মর্মে বিষয়টি অাচ্ করতে পেয়ে জরুরি রুম থেকে বেরিয়ে এসে সংশ্লিষ্ট ঘরের দরজার শীকল বাহির থেকে আটকীয়ে দিয়ে চিৎকার দিলে ধর্ষক নান্নু মল্লিক নিজেকে আত্মগোপন করতে রুমের মধ্যে থাকা স্টীলের বাক্সের ভীতরে লুকিয়ে থাকে। এ সময় মহিলার শ্বশুর কাওসার মল্লিক সহ আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ঘরের দরজা খুলে ভীতরে খুঁজাখুঁজি করে কাউকে না পেয়ে একপর্যায়ে বাক্সটি তল্লাশি করে নান্নু মল্লিক কে বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে। চাচা শ্বশুরের এহেন অপকর্মের বিষয় টি উপস্থিত সকলে কানাঘুষার
একপর্যায়ে ওই ধর্ষক কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মধ্য দিয়ে গৃহবধূ বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা মামলা ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতা বাদী হয়ে মামলা করেন ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে। মামলায় এজাহার ভূক্ত আসামী নান্নু মল্লিক কে ঔ রাতেই গ্রেফতার করে পরদিন জেল হাজতে প্রেরন করেন থানা পুলিশ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সেকেন্ড অফিসার এসআই নজরুল ইসলাম জানান,
অভিযুক্ত ধর্ষক নান্নু মল্লিককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।