২০১৩ সালে ১৬ই এপ্রিল একদল কিশোরের হাতে তৈরি সামাজিক সংগঠন লেটস ক্রিয়েট এর এক যুগ পূর্তি হয়েছে। এক যুগ পাড়ি দিয়ে তেরো বছরে পদার্পণ করলো লেটস ক্রিয়েট। নেত্রকোনার মদন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অংশীদার লেটস ক্রিয়েট।
দীর্ঘ এ পথচলায় লেটস ক্রিয়েট এর অসংখ্য কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
০১. গণিত অলিম্পিয়াড ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা। যেখানে মদন উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে। ক এবং খ দুটি গ্রুপের মোট ২০ জনকে গনিত অলিম্পিয়াড এ পুরষ্কার প্রদান করা হয় এবং সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় আরো ১০ জনকে পুরষ্কার প্রদান করে। এছাড়া এই একই ইভেন্টে আইটি কর্মশালা, মদনের গুনীজনদের সম্মাননা প্রদানসহ বিভিন্ন সেগমেন্ট থাকে। এই আয়োজনের পুরোটাই লেটস ক্রিয়েট নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে করে থাকে।
০২. প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন ক্রাইসিসে সেচ্ছায় সেবা দেওয়া। ২০২২ সালের বন্যায় লেটস ক্রিয়েট এর পক্ষ থেকে মদন উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় ৫০০ প্যাকেট ত্রান বিতরণ করে।
০৩. বৈশ্বিক মহামারী করোনায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নিজ উদ্যোগে হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরি এবং করোনা মোকাবেলায় মদনের বিভিন্ন পয়েন্টে সেগুলো স্থাপন করে লেটস ক্রিয়েট।
০৪. মদন উপজেলার অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করে। প্রতি শীতেই লেটস ক্রিয়েট মদনে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে অসহায় মানুষদের কম্বল বিতরণ করে। এছাড়াও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবেও সাপোর্ট দিয়ে আসছে লেটস ক্রিয়েট।
০৫. ইদ বা পূজার মতো বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবেও বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে লেটস ক্রিয়েট।
এ ছাড়াও যেকোনো প্রয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সেচ্ছাসেবীর ভূমিকায় দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত লেটস ক্রিয়েট।
যুগ পূর্তি উপলক্ষে লেটস ক্রিয়েট এর সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান সাব্বির বলেন, ‘২০১৩ সালে সদ্য স্কুল পাস করা কিছু ছেলে যারা চিন্তা করেন নিজ এলাকা এবং দেশের জন্য কাজ করা, যার মাধ্যমে আমরা পাই লেট’স ক্রিয়েট নামে একটি সংগঠন। যা সাফল্যের সাথে এক যুগ পার করলো। লেট’স ক্রিয়েট এর এক যুগ পূর্তিতে আমি সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’
এছাড়াও লেটস ক্রিয়েট এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আল-মোজাহিদ ইমু বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয় বা শহরে এ ধরনের সংগঠন পরিচালনা যতটা সহজ, উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের সংগঠন পরিচালনা ততটাই চ্যালেঞ্জিং। আমরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কাজ পরিচালনা করছি। শুরুতে আমরা ছিলাম এর নেতৃত্বে, এরপর জুনিয়ররা এসেছে এখন। লেটস ক্রিয়েট এর সাফল্যের পেছনে আমি সংগঠনের প্রতিটি সদস্যের ভূমিকার প্রশংসা চাই। পাশাপাশি যারা আগে ছিলো বর্তমানে নেই তাদের ভূমিকাও আমি স্মরণ করতে চাই। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ইফোর্টকে একত্রিত করলেই আজকের লেটস ক্রিয়েট এর বর্তমান চেহারা। আমি প্রত্যাশা করি লেটস ক্রিয়েট সফলতার সাথে আরো কয়েকযুগ পাড়ি দিবে।’