রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আজ ( ঢাকা, ৯ মে) শুক্রবার বিকেলে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে হাজারো ছাত্র-জনতা রাস্তায় নামে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশের সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় এবং গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় অবরোধ করে। এতে করে শাহবাগ, টিএসসি, বাংলামোটর ও সায়েন্স ল্যাবমুখী সব সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
‘গণহত্যার বিচার চাই’ ও ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’—এমন স্লোগানে মুখর ছিল পুরো এলাকা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও অংশ নিতে দেখা যায় এই অবস্থান কর্মসূচিতে।
তবে জনমনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—এই আন্দোলনের সময় ছাত্রদল কোথায়?
একটি সময়ে রাজপথ কাঁপানো ছাত্র সংগঠন আজকের দিনে শাহবাগ বা যমুনার রাজপথে অনুপস্থিত কেন?
ছাত্ররাজনীতি কি কেবল দলীয় দিকনির্দেশনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি জাতীয় ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা নেবে?—এই প্রশ্ন এখন উঠছে আন্দোলনরত জনতার মধ্যেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী বিরোধী যে কোনো জনসচেতন আন্দোলনে ছাত্রদলের ঐতিহাসিক ভূমিকা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তারা মাঠে অনুপস্থিত। এই অনুপস্থিতি তাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থান ও গণআস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
এদিকে, আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।