ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেলিফোনে দেওয়া ‘লিথাল ওয়েপন ব্যবহারের নির্দেশনা’সহ বিভিন্ন অডিও ও প্রমাণ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে সরাসরি আসামি করা হয়নি। এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পৃথক চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে এবং সেখানে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করা হবে।
রবিবার (২৫ মে) মামলার শুনানি শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ এবং লিথাল ওয়েপন ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত ভয়েস রেকর্ড ও অন্যান্য আলামত আদালতে দাখিল করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের সঙ্গে শেখ হাসিনার একটি কথোপকথন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে অভিযোগ অনুযায়ী, ‘জুলাই বিপ্লব’-এর সঙ্গে জড়িত বাদী ও সাক্ষীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং হত্যার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত অবমাননার (Contempt of Court) কার্যক্রম শুরু হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৩ জুন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “সাধারণত নোটিশ জারি হলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজন পড়ে না। তবে স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।”
তিনি সতর্ক করে জানান, আসামিরা যদি নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির না হন অথবা তাদের পক্ষে আইনজীবী কোনো ব্যাখ্যা না দেন, তাহলে আদালত একতরফা আদেশ দিতে পারেন।