নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
লেখক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন, সাবের হোসেন চৌধুরী সভাপতি আর সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক করে পুনর্গঠিত হবে আওয়ামী লীগ।
এই পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে। তবে পিনাকীর এই বক্তব্যকে নাকচ করে দিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পিনাকী ভট্টাচার্যের বক্তব্য সংবলিত একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে পোস্ট দেন সোহেল তাজ। ওই পোস্টে পিনাকীর দাবিকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করলেন তিনি।
পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, সাবের হোসেন চৌধুরী সভাপতি আর সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক এইভাবে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হবে। এই পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে। এইটা যৌথ সিদ্ধান্ত।
এতে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ব্রিটেনের সমর্থন আছে। এই কারণেই সাবের হোসেন চৌধুরীকে জেলে রাখা যায়নি।
পিনাকী আরও লিখেন, ১৯৭৫ এর পনোরোই আগস্টের বিপ্লবীদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল। তারা বিভক্ত হতে হতে শক্তিহীন হয়ে পড়ে। যারা ১৯৭৫ এর বেনিফিসিয়ারি তারা বিপ্লবীদের বাঁচায়নি। একাংশ রাজনৈতিক দল তৈরি করলো ফ্রিডম পার্টি। আরেক অংশ খন্দকার মুশতাককে মাঝে রেখে দল গড়তে চেয়ে ব্যর্থ হলো।
হাসিনা ফিরে এলো। ২০২৪ এ আবার ১৯৭৫ এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। সেই একই ব্যবস্থা সেই একই কাঠামো অবিকৃত রেখে রাষ্ট্র চলবে। লুটপাট চলবে, ভারতের কর্তৃত্ব চলবে। ২৪ এর নায়কেরা ভুল আর বিভেদের পঙ্কিল আবর্তে ডুবে যাবে। আর এখন শুরু হয়েছে একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনকে লড়িয়ে দেওয়া।
পিনাকী ভট্টাচার্যের এই অভিযোগকে সরাসরি ভুয়া/ফেইক নিউজ বললেন সোহেল তাজ। তবে হঠাৎ আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে কেন এত আলোচনা, সাবের হোসেন-সোহেল তাজের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হচ্ছে কি না এই অভিযোগের ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে সোহেল তাজ গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে কারও সাথে আমার কোনো আলোচনা হয়নি। আমি কিছুই জানি না। আমি রাজনীতিতে নেই। নোংরা, পচা রাজনীতিতে আমার আগ্রহ নেই।
আওয়ামী লীগকে যাবতীয় অপকর্ম, হত্যা, গণহত্যা, গুম-নির্যাতনের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইতে হবে, তাদেরকে সাজা পেতে হবে।
আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হলে নেতৃত্ব দেবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতা আর জনগণের নীতি-আদর্শভিত্তিক দল ছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৭৪ সালের বাকশালে সেই আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত হয়। আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করতে হলে একাত্তরের আগের আদর্শে ফিরে যেতে হবে।
নতুন করে নতুন দল নিয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসবেন কিনা জানতে চাইলে সোহেল তাজ সরাসরি এর উত্তর দেননি। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মই দেশ গড়বে। তারাই হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক। নতুন প্রজন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে পিওর হার্ট নিয়ে দেশ গড়তে এগিয়ে আসে তবে তাদের পাশে থাকবেন সোহেল তাজ।