বাংলা এফএম নিউজ ডেস্ক
ঢাকা: দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা, সুশাসন এবং গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ সকালে একটি সংবাদ সম্মেলনে সরকারের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার (অব.) মাহমুদুল করিম বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে দলটির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ দুর্নীতি, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। এসবের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে এই নিষেধাজ্ঞা জরুরি হয়ে পড়েছে।”
রাজনীতিতে ঝড়:
এই ঘোষণার পরপরই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীর ধানমণ্ডি, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলীয় নথিপত্র জব্দ করেছে।
আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া:
এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “এটি সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। আমরা শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক উপায়ে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।”
বিশ্লেষকরা কী বলছেন:
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. নুরুল কবির মনে করেন, “এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যুগান্তকারী প্রভাব ফেলবে। তবে এটি কতটা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা জনগণ কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
এই ঘোষণার পরপরই জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কয়েকটি পশ্চিমা রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।