Staff Reporter:
রাজনীতির ময়দানে হঠাৎ করেই উত্তেজনা বেড়েছে। মূল ইস্যু— জাতীয় নির্বাচন। শোনা যাচ্ছে, রোজার আগেই নির্বাচন আয়োজনের চিন্তা করছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকেও এমন আভাস মিলেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ভোটের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
এমন সময়ে নির্বাচন সংক্রান্ত বার্তা আসতেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া.
🔴 জামায়াতের শঙ্কা: ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের কল্পনাও করা যায় না’
সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান একটি জনসভায় বক্তৃতা দেন, যেখানে তিনি পাটগ্রাম থানা থেকে বিএনপি কর্মী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,
“এমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কল্পনাও করা যায় না।”
তিনি ইঙ্গিত দেন, নির্বাচন আয়োজনের আগে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে জনগণের আস্থা পাওয়া যাবে না।
🟡 নাগরিক কমিটির শর্ত: জুলাই ঘোষণাপত্র ও সংস্কার ছাড়া নয়
অন্যদিকে, রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) বর্তমানে ঢাকার বাইরে পদযাত্রা কর্মসূচি চালাচ্ছে। দলটির নেতারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,
“জুলাই ঘোষণাপত্র O মূল কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন না।”
এনসিপি নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সমঝোতা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছে।