বাংলাদেশের সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) সাদিক এগ্রো লিমিটেডের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। সংস্থাটি অভিযোগ করেছে যে, সাদিক এগ্রো একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের অংশ হিসেবে চোরাচালান, প্রতারণা এবং জালিয়াতি করেছে। সিআইডি বলছে, সাদিক এগ্রো অবৈধ পণ্য দেশের বাইরে থেকে চোরাচালান করে নিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত রয়েছে।
এছাড়া, সিআইডি আরো জানায়, সাদিক এগ্রো জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসার শর্ত ভঙ্গ করে আর্থিক লেনদেনে প্রতারণা করেছে এবং সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়েছে। সিআইডি এরই মধ্যে এ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে অপরাধমূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে।
সিআইডি জানিয়েছে, ইমরান হোসেন সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩৩ কোটি টাকারও বেশি অর্থ অর্জন করেছেন।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিমের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক একরামুল হাবিব মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইমরান হোসেন এই অর্থ অর্জন করেছেন চোরাচালান ও প্রতারণার মাধ্যমে। তারা অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু অবৈধভাবে আমদানি করেছেন এবং দেশের বিভিন্ন বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছেন।
সিআইডি আরও জানিয়েছে, ইমরান হোসেন দেশের গরু ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু বা ছাগল হিসেবে বিক্রি করে ১২১ কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পাচার করেছেন। এতে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া, সিআইডি দাবি করেছে যে, ইমরান হোসেন কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে এনেছেন এবং তা বিক্রি করেছেন। ভুটান ও নেপাল থেকে ছোট আকৃতির গরু চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, সিআইডি সোমবার ঢাকার মালিবাগ থেকে ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। আজ আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।