টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১০ বছর বয়সী এক মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এক সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে শিশুটিকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, যখন শিশুটি তার নানীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে বাগানে কুল কুড়াতে গেলে সিএনজি চালক তাকে ডেকে নিয়ে টয়লেটের ভেতর ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
ঘটনার পর শিশুটির মধ্যে মানসিক পরিবর্তন দেখা দিলে পরিবার সন্দেহ করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি ধর্ষণের কথা প্রকাশ করে। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে। সালিশে ধর্ষণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেড় লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যার মধ্যে ৯২ হাজার টাকা পরিবারের হাতে দেওয়া হয় এবং বাকি ৫৮ হাজার টাকা স্থানীয় মাতাব্বররা নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসী ফুঁসে ওঠে এবং ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। পুলিশ দাবি করছে, ঘটনা জানার পর তারা মামলাসহ আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর রয়েছে।
এই ঘটনায় সমাজের ন্যায়বিচার ও শিশু সুরক্ষার বিষয়টি আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। স্থানীয় জনগণ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।