বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটারদের ভোটাধিকার কার্যকরভাবে প্রয়োগের পথ খুঁজছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে তিনটি বিকল্প পদ্ধতি—পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং ও প্রক্সি ভোটিং—পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, “গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বুয়েট ও এমআইএসটির শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কর্মশালায় আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের নিয়েই একটি পরামর্শক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এই কমিটির মূল কাজ হবে প্রতিটি পদ্ধতির সম্ভাবনা ও দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে বাস্তবায়নযোগ্য সমাধান তুলে ধরা। কমিশনার জানান, “আমাদের যেটা করতে হবে, সেটা করতে হবে সময়ের মধ্যে। সময় যদি না থাকে, তাহলে অনেক কিছুই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।”
প্রকাশিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসি এখন কোনো একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি বেছে নেওয়ার পথে হাঁটছে না। বরং তিনটি পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি বাস্তবসম্মত ও কার্যকর কাঠামো তৈরি করতেই আগ্রহী কমিশন।
প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কমিশনার বলেন, “যদি সবচেয়ে বেশি প্রবাসী ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, তাহলে প্রক্সি ভোট একমাত্র কার্যকর বিকল্প হতে পারে। তবে অন্যান্য পদ্ধতিরও সম্ভাবনা রয়েছে। কেউই একটিকে একক সমাধান হিসেবে দেখছেন না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হয়তো একটি একক পদ্ধতি পুরোপুরি উপযোগী হবে না। তাই একটি সমন্বিত পদ্ধতির দিকেই আমাদের যেতে হবে।”
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভবিষ্যতে আরও সহজে ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে আশা করছে ইসি।