বাংলাদেশের জটিল ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসার জন্য সাধারণত ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে যেতেন। তবে, চিকিৎসা খরচের দিক থেকে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের তুলনায় প্রতিবেশী দেশ ভারত সাশ্রয়ী হওয়ায় বেশিরভাগ বাংলাদেশি রোগী ভারতের কলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নিতে যেতেন।
বর্তমানে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে ভারতীয় ভিসার সুযোগ ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে গেছে। ভিজিট ভিসা পুরোপুরি বন্ধ, এবং মেডিকেল ভিসা সীমিতভাবে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে, বাংলাদেশি রোগীরা বাধ্য হয়ে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে শুরু করেছেন, তবে এই দুটি দেশে চিকিৎসা খরচ ভারতের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় রোগীদের জন্য এটি একটি আর্থিক চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যাতে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চীনের চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এই হাসপাতালগুলো কম খরচে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করবে। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায়, বাংলাদেশ সরকার চীনের সঙ্গে একটি উন্নত মানের বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আলোচনা করেছে।
চীনের কুনমিং শহরের চারটি হাসপাতাল বিশেষভাবে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, এবং সম্প্রতি চীন সরকার বাংলাদেশে একটি উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চীনে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
এখন, চীনকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে যুক্ত করার মাধ্যমে, বাংলাদেশ সরকার আশা করছে যে, দেশীয় রোগীদের জন্য আরও সাশ্রয়ী এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।