তারিখ: ১২ জুন ২০২৫ | সময়: ভোর ৫:৩০ | স্থান: তেহরান ও তেলআভিভ
আজ ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েল সরকার জানিয়েছে, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন,
“এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কেন্দ্রে আঘাত করেছে। যতদিন হুমকি থাকবে, এই অভিযান চলবে।”
প্রধান তথ্য:
- বিস্ফোরণ: ভোর ৪টার পরপরই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। অনেক ভবনে আগুন ধরে যায় এবং ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ।
- রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা: ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস বাহিনীর তেহরান সদর দপ্তর সরাসরি হামলার শিকার হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে।
- বিমান চলাচল বন্ধ: তেহরান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। তেলআভিভগামী ফ্লাইটগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
- ইসরায়েলের সতর্কতা: ইসরায়েল দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জনসাধারণকে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- মানবিক ক্ষয়ক্ষতি: ইরান দাবি করেছে, হামলায় আবাসিক এলাকাও আক্রান্ত হয়েছে এবং হতাহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে.
- আশঙ্কা: ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
- যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়, এবং মূল লক্ষ্য এখন মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের সুরক্ষা।
- বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে এই আশঙ্কায় যে এই হামলা হয়তো আরও বড় সংঘাতের সূচনা হতে পারে।
এই আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংকট মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ নেবে?