সিনিয়র প্রতিবেদক:
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদযাত্রার আনন্দে নেমেছে স্থবিরতা। তীব্র যানজটে রাস্তায় কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ফিরতি বাস না আসায় রাত থেকে রাস্তা ও কাউন্টারে অপেক্ষায় অনেক যাত্রী। টিকিট কেটেও গাড়ি না আসায় যাত্রা বাতিল করে ফিরে গেছেন অনেকে।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপনে বাড়ির পথে বহু মানুষ। কিন্তু যাত্রাপথে নেমেছে স্থবিরতা। সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে নাকাল সাধারণ মানুষ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজটের স্থবিরতা কাটেনি। থেমে থেমে যান চললেও কচ্ছপ গতির কারণে তিন ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিতে লাগছে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। শিশু-নারী-বয়স্করা পড়েছেন বেশি বিপাকে। ভোগান্তি হলেও স্বজনের সঙ্গে মিলে ঈদ আনন্দে মেতে ওঠার অপেক্ষায় সবাই।
এদিকে, যানজটের প্রভাবে পরিবহন সংকট পৌঁছেছে চরমে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গাড়ি না থাকায় অপেক্ষায় হাজার হাজার যাত্রী। বাধ্য হয়ে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে, মোটরসাইকেল বা পশুবাহী ট্রাকে যাচ্ছেন বাড়িতে।
এছাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে যানজট।
এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালে সময় মতো গাড়ি না আসায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে যারা যেতে পারেননি তাদের অনেকের রাত কেটেছে সড়ক ও বাস কাউন্টারে। টিকিট কাটার পরও যাত্রা বাতিল করেছেন অনেকে।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়ও নেই স্বস্তির ছাপ। ঈদযাত্রার শেষ দিনে কয়েক কিলোমিটার যানজটে যাত্রী ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে ২৩টি ফেরি থাকলেও যানবাহন চাপে হিমশিম অবস্থা।
এদিকে, মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে বাড়তি ভাড়া নিলে বাসের রুট পারমিট বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সড়কে কোরবানির পশুবাহী বাহনের কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে বলে জানান সাধারণ মানুষ। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা হাইওয়ে পুলিশের৷