জান্নাতে কোন ধর্ষক নাই। জান্নাতে আছিয়ার ঘুমে কেউ ব্যাঘাত ঘটাবে না। শুনেছি নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করলে সে শহীদের মর্যাদা পায়। সেই হিসেবে আমাদের বোন আছিয়া শহীদ। আর কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, শহীদকে তোমরা মৃত বলো না।
আছিয়া মারা যায়নি। দুনিয়ার জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর জান্নাতে চলে গেছে।
মহান আল্লাহ তাআলা তাকে ভালো রাখুক। আর যারা এই দুনিয়াটা ওর জন্য জাহান্নাম বানাইয়া দিছিলো, তাদের দুনিয়াকে আর আখিরাত দুইটাই যেন জাহান্নাম হয়ে যায়।
আমরা তো আল্লাহরই আর নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব।” (২:১৫৬)
এদিকে, শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ মা বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিলাপ করছেন। শিশুটির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে গণমাধ্যমে বলেন, ‘আছিয়ার জানাজা গ্রামেই হবে। আমার মণিকে বেলেট দিয়ে ক্যামবা কাটিছে রে। আমার মণির পুরো গলায় ঘা হইয়্যা গেছে রে।
আজ দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।