ভারতের গুজরাট রাজ্যে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস, কাজ এবং বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এই বাংলাদেশি নাগরিকদের শনাক্ত করে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মন্ত্রী আরও জানান, শিগগিরই আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
গুজরাট পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন শহর, বিশেষ করে আহমেদাবাদ, সুরাট, রাজকোট ও বডোদরার বস্তি এবং নির্মাণক্ষেত্রগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অনেকের কাছ থেকে ভুয়া ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড এবং আধার কার্ড পাওয়া গেছে, যা ভারতীয় নাগরিকত্ব দাবি করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, এই বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই নির্মাণ শ্রমিক, গৃহকর্মী এবং ছোটখাটো ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। কেউ কেউ স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও দালালদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় পরিচয়ে জীবনযাপন করে আসছিলেন।
এই অভিযানের পর আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন (Foreigners Act) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে। গুজরাট সরকার জানিয়েছে, যাচাই-বাছাই শেষে অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, এই ইস্যু নিয়ে দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমন ঘটনাগুলো নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশি অভিবাসন ইস্যু নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতেও উত্তাপ দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করছেন, দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার্থে এবং অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।