অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি
ঢাকা, ৯ মে ২০২৫:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের (আ.লীগ) একনায়কতান্ত্রিক শাসন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার মাধ্যমে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দলটি নিষিদ্ধ করার দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। চলমান তদন্তে সহযোগিতার পরিবর্তে দলটি বরং দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য প্রকাশ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই দাবির বিষয়ে সরকার শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনটিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জনদাবির প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (আ.লীগের ছাত্রসংগঠন)-কে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সংগঠনটি সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত।
এছাড়াও, সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে, যাতে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের বিচার সম্ভব হয়।
সরকার অবগত যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তিনি গত সরকারের সময়কার শাসক ছিলেন এবং জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত এক মামলার আসামি। সরকার সকলকে আশ্বস্ত করছে যে, সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনার ব্যাপারে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সমাপ্ত।