আজ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছে জাতির সেই বীর সন্তানদের, যারা শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব পালনকালে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতিসংঘের পতাকাতলে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় আত্মোৎসর্গকারী ১৬৮ জন শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি, শত শত আহত সদস্য ও তাদের পরিবারের প্রতি জানানো হয় আন্তরিক সহমর্মিতা।
এ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের অবদান বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত ও গৌরবজনক। ১৯৮৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪০টিরও বেশি দেশে শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে যে ভূমিকা রেখেছে, তা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা যেভাবে জাতিগত সংঘাত, সন্ত্রাস ও সহিংসতা প্রতিরোধে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বে কাজ করে যাচ্ছেন, তা বহু অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছে। বর্তমানে জাতিসংঘের নয়টি মিশনে পাঁচ শতাধিক নারীসহ প্রায় সাড়ে সাত হাজার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছেন।
তাদের এই নিরলস ত্যাগ ও দক্ষতায় বহুবার জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা এবং ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদকপ্রাপ্তির মতো সম্মান এসেছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভাগ্যে। আফ্রিকার সিয়েরালিওনের মতো দেশ যেখানে বাংলাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। শান্তি প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্বে প্রাণ বিসর্জন দিয়েও বাংলাদেশি সেনারা কখনো পিছু হটেনি—বরং আরও শক্তিশালী ও আস্থাভাজন শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জাতিসংঘের মিশনে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সেনা ও পুলিশ সদস্যরা সততা, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বগুণে বিশ্বব্যাপী সম্মান কুড়িয়েছেন। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রেও তারা হয়ে উঠেছেন অনন্য। ইউরোপ ও আমেরিকার সামরিক কমান্ডাররাও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সাহসিকতা ও পেশাগত দক্ষতায় মুগ্ধ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের এই অনন্য ভূমিকা শুধু দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে না, বরং ভবিষ্যতেও এ সুনাম আরও বাড়বে বলেই এবি পার্টি আশাবাদ ব্যক্ত করছে।