নয়াপল্টনে দোয়া মাহফিলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন—সংস্কার কীভাবে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের বিকল্প হতে পারে? তিনি বলেন, “যে ভোটাধিকার আদায়ের জন্য আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছি, তা নিয়ে এখন কেন এই টালবাহানা? কেন সংস্কারকে নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার থেকে বড় করে দেখা হচ্ছে?”
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্মরণে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন রিজভী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজো আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে হওয়া লাখো মামলা প্রত্যাহার হয়নি, বরং তারা এখনও আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। “আট মাসে অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে কী উদ্যোগ নিয়েছে?”—প্রশ্ন রাখেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থানকে পেন্ডুলামের মতো আখ্যায়িত করে রিজভী বলেন, “ডিসেম্বর আর জুনের দোলনার মধ্যে কেন নির্বাচনী ওয়াদা দুলছে? জনগণের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবার সময়ক্ষেপণ কেন?”
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনে বিএনপিপন্থী কাউকে সুযোগ না দেওয়ায় এটা স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের কোনো গোপন এজেন্ডা রয়েছে। এতে দেশে ধোঁয়াশা আর অনিশ্চয়তা বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী অভিযোগ করেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস পার হলেও এখনো ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সুমনসহ গুম হওয়া নেতাদের খোঁজ মেলেনি। তাহলে গঠিত গুম কমিশন কী করছে? এসব নেতাদের ফিরিয়ে আনতে কী কার্যক্রম চলছে?”
তিনি বলেন, সিলেট সীমান্তে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণেই ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। তার মতে, তৎকালীন সরকার ও ‘যৌথ প্রযোজনা’র মাধ্যমেই এই নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক সরাফত আলী এবং নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা।
চাহিদা থাকলে এই বক্তব্য থেকে কপি রাইট ফ্রি শিরোনামও সাজিয়ে দিতে পারি!