আব্দুর রহিম রিয়াদ, ডিমলা (নীলফামারী)
“আমরা আমাদের অবস্থান থেকে স্পষ্ট করে বলেছি—আমরা স্থানীয় নির্বাচন আগে চাই। কারণ, কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা নিজেদের প্রার্থীদের জেতাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। কিন্তু এখন যদি নির্বাচন হয়, তাহলে যোগ্য মানুষ নির্বাচিত হবেন। কেউ সহজে প্রভাব খাটাতে পারবে না,” — এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা সদরের বিজয় চত্বর মোড়ে পথসভা ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ আল গালিব ও আলী নাসের খান। এর আগে তারা বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট বাজারেও এক পথসভায় অংশ নেন।
সারজিস আলম বলেন, “যারা ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের হাত ধরেই এনসিপির জন্ম। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে একাধিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে।”
তিনি বলেন, “এক-দু’টি দলকে কেন্দ্র করে জনগণ বারবার সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। মার্কা দেখে ভোট দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ভালো মানুষ দেখে ভোট দিতে হবে।”
“সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে”
সারজিস আলম আরও বলেন, “৫ আগস্টে মানুষ যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছে, সেই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।”
“আমরা এই নোংরা কালচার আর চাই না”
তিনি বলেন, “আমরা এতদিন রাজনৈতিক দলে নমিনেশন কেনার কালচার দেখেছি। দেখেছি, ক্ষমতাসীন দলের মার্কা পাওয়া মানেই জোর করে তাকে জেতানোর চেষ্টা। এসব আমরা আর দেখতে চাই না। পুলিশ, ভূমি অফিস, হাসপাতাল—সব জায়গায় ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না।”
“উন্নয়নের জোয়ারে ভাসানো হলে রাস্তাগুলো এত বেহাল কেন?”
ডিমলার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের বলা হয়েছে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে ডিমলার রাস্তাগুলো এত খারাপ কেন? আপনাদের সাথে আমাদের দেখা হবে রাজপথে—হয় সংগ্রামে, নয় বিজয়ে।”