মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতাদের রক্ষায় দলটির নেতাদের গড়িমসির অভিযোগ করেছেন মীর কাসেম আলীর কন্যা তাহিরা তাসনিন বিনতে কাসেম। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, জামায়াত দল হিসেবে তাদের নেতাদের ফাঁসি ঠেকাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেনি, যা তার কাছে স্পষ্ট একটি অনুপস্থিত নেতৃত্বের সংকট হিসেবে ধরা পড়ে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “শহিদি মর্যাদা আমাদের একমাত্র সান্ত্বনা, তবে আমাদের নিজের মানুষরা শুধু ধোকা দিয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, জামায়াত তাকে এমপি পদ অফার করলেও তিনি কখনোই তা গ্রহণ করবেন না, কারণ তার মতে, তাদের নেতাদের হত্যার পেছনে জামায়াতেরও দায় রয়েছে এবং এটাকে তিনি “ক্রাইম অব অমিশন” হিসেবে বিবেচনা করেন।
তাহিরা কাসেম বলেন, জামায়াতের নেতারা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ড পাওয়ার পরেও তাদের রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি তাকে হতাশ করেছে। “তাদের বাঁচানোর জন্য জামায়াত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি,” বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে, জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে মোহাম্মদ নাদিমুর রহমানও সোশ্যাল মিডিয়ায় জামায়াতের নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, জামায়াতের নীতি-আদর্শ বর্তমানে কীভাবে টিকে থাকতে পারে, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “এই ছয় নেতার ফাঁসি ঠেকাতে পারলেই তো জামায়াতের নীতি-আদর্শ ঠিক থাকতো,” এবং তিনি আরও বলেন, জামায়াতের কিছু নেতার কথাবার্তা এবং কর্মকাণ্ড এই দলের নীতি-আদর্শের পরিপন্থী।
নিজামীর ছেলে নাদিমুর রহমান জানিয়ে দেন যে, জামায়াতের নীতি এখন একে অপরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি দাবি করেন যে, জামায়াতের ভিতর এখন “একটি বিভ্রান্তি এবং একাধিক কথার বলার” প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তার মতে, এটা জামায়াতের আসল সত্তার বিপরীত।
এছাড়া, জামায়াতে ইসলামীর প্রতি প্রীতি জানিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মার উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এই ইস্যুতে সাবেক শিবির সভাপতি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিলেও কিছু সময় পর সেটি ডিলিট করেন, যা নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়।