বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ ২৩ এপ্রিল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের অপসারণ এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেত্রী ইসরাত জাহান ইশার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নব্য স্বৈরাচারের প্রভাব পড়ছে। ভিসিদের মধ্যে শিক্ষার্থীবান্ধব আচরণের পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে দলীয় পক্ষপাত ও নির্লজ্জ বৈষম্য। তিনি অভিযোগ করেন, কুয়েট ভিসি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে বহিরাগতদের পক্ষ নিয়েছেন এবং নিজ শিক্ষার্থীদের অন্যায্যভাবে বহিষ্কার করেছেন, যা একজন শিক্ষা প্রশাসকের কাছে অপ্রত্যাশিত।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন চলাকালে কেউ মৃত্যুশয্যায় গেলেও কুয়েট ভিসির টনক নড়েনি। সেইসাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার নিষ্ক্রিয়তাও সমালোচনার মুখে পড়ে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, কুয়েট ভিসিকে অপসারণ না করা হলে দেশব্যাপী তীব্র ছাত্রআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ সময় একই সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর এক নারীনেত্রীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালানো অপপ্রচারের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, নারী রাজনীতিবিদদের হেনস্তা করে তাদের রাজনীতিচ্যুত করার অপচেষ্টা নতুন কিছু নয়। জুলাই বিপ্লবের পর নারীদের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বাড়লেও এই ধরনের হামলা সেই অগ্রযাত্রায় বড় প্রতিবন্ধক।
গত ২২ এপ্রিল টিকটকের একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে ইসরাত জাহান ইশার একটি ছবি ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হয়, যা সামাজিকভাবে বিভ্রান্তিকর ও আপত্তিকর বলে উল্লেখ করেন নির্ঝর। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ছাত্রপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
নিজ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন ইসরাত জাহান ইশা নিজেও। তিনি বলেন, এ ধরনের মানসিক আক্রমণ একজন নারী রাজনীতিকের জন্য অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, কিন্তু এসব দমননীতি তাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও দৃঢ়ভাবে টিকে থাকার প্রেরণা জোগায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আকিব হাসান, ফওজিয়া ফারিহা করবী, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য কামরুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ জিহাদ ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির ও ফারজানা আক্তার মিতু এবং সদস্য জুবায়ের হাসিব ও শ্বাশত হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।