আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব মুদ্রণকাজ প্রয়োজন হয়—তা বাস্তবায়নে কী পরিমাণ কাগজ লাগবে, সম্ভাব্য ব্যয় কত হতে পারে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় কতটা সময় লাগবে—এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ইসি সচিবালয়ের এক প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন নির্বাচনে প্রয়োজনীয় কাগজের পরিমাণ ও বাজেট নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে আগের নির্বাচনের সময় মজুত রাখা কিছু কাগজের গুণগত মান নষ্ট হয়ে থাকলে সেগুলো ধ্বংস বা বাতিল করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সময় জানানো হয়, নির্বাচনসংক্রান্ত কাগজপত্রের প্রক্রিয়া—যেমন কাগজ সংগ্রহ, ছাপাখানায় মুদ্রণ এবং বিতরণ—সম্পন্ন করতে সাধারণত তিন থেকে চার মাস সময় প্রয়োজন হয়। ফলে নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই এসব প্রস্তুতি শুরু করা জরুরি।
ইসি সচিব বলেন, “নির্বাচনের সময়সূচি এখনো ঘোষণা হয়নি, তবে নির্বাচন একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। তাই আগাম প্রস্তুতি না থাকলে সময়মতো সব কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে।”
ইসির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আরও জানা যায়, একটি জাতীয় নির্বাচনে প্রায় ২১ ধরনের ফরম, ১৭ ধরনের প্যাকেট, ৫ ধরনের পরিচয়পত্র, নির্বাচনী আচরণবিধি, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল, প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা ও অন্যান্য নানা ধরণের মুদ্রিত সামগ্রী প্রয়োজন হয়।
তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই এবং প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম ও প্রতীকসহ ব্যালট পেপার ছাপানো হয়, যা সময়সাপেক্ষ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।
সব মিলিয়ে, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সময়মতো আয়োজন করতে হলে আগে থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করা জরুরি বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।