জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধকে আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এনসিপি মনে করে, বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদি রেজিমের অধীনে সংঘটিত গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচারের অগ্রগতি নিশ্চিত করা উচিত।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। এনসিপি এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, ভোট ডাকাতি ও গুম-ক্রসফায়ারের বিচার নিশ্চিত না করে এ ধরনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
এনসিপির দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা।
- আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা প্রতিহত করা।
- ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে “জুলাই সনদ” ঘোষণা।
এনসিপি বলেছে, আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি একটি ফ্যাসিবাদী সংগঠন। ৩৬শে জুলাইয়ের ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানেই জনগণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, ফলে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে।
দলটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার যেকোনো আলোচনা প্রত্যাখ্যান করা হবে।