আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা ও ভোগান্তির বাস্তব চিত্র তুলে ধরে তা সমাধানের লক্ষ্যে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কাছে। স্মারকলিপিতে দূতাবাসের সেবা, শ্রম অধিকার, আইনি সহায়তা এবং সামগ্রিক কল্যাণমূলক ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে একগুচ্ছ সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, সহকারী শ্যাডো সম্পাদক ড. জাভেদ ইকবাল ও সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক।
বৈঠক শেষে ব্যারিস্টার ফুয়াদ সাংবাদিকদের জানান, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। অথচ তারা নানা হয়রানি ও অব্যবস্থাপনার শিকার। এসব সমস্যা সমাধানে এবি পার্টি ১৩ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পাসপোর্ট নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করতে হবে, হাইকমিশনের নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতিমুক্ত কুরিয়ার সার্ভিস চালু করতে হবে, পুরনো ব্যাংক ড্রাফট পদ্ধতির পরিবর্তে QR কোড, অনলাইন পেমেন্ট চালু করা, দূতাবাসে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম চালু, অ্যাপয়েন্টমেন্টে দালালি বন্ধ, বিদেশে বন্দি বাংলাদেশিদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ, আইনি সহায়তার জন্য ২৪/৭ হটলাইন ও অনলাইন ফর্ম চালু, শ্রম বিরোধ মীমাংসায় দূতাবাসকে আরও সক্রিয় করা, কল্যাণ তহবিলের হিসাব প্রকাশ, প্রতারণামূলক বিদেশি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা, মৃতদেহ দেশে পাঠাতে অপ্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া বাতিল, শ্রমিকদের শোষণ থেকে রক্ষা এবং যেখানে বেশি প্রবাসী সেখানে হাইকমিশনের শাখা অফিস খোলা।
এবি পার্টি আরও জানিয়েছে, অতীতে যারা ফ্যাসিবাদী সরকারকে সহায়তা করেছে, দূতাবাসে তাদের প্রভাবমুক্ত করে পেশাদার ও মানবিক কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে। পাশাপাশি প্রবাসী সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দলটি মনে করে, যারা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছে, তাদের অধিকার ও সম্মান রক্ষা করাই সরকারের দায়িত্ব। এবি পার্টি সে দায়িত্ব পালনে সরকারের কাছে জবাবদিহিতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ চেয়েছে।