বিশিষ্ট সাংবাদিক যুলকার নাইন সায়ের সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে এক তীব্র সতর্কবার্তা জারি করেছেন, যেখানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চারপাশে গড়ে ওঠা একটি “বিষ বলয়” বা “টক্সিক সার্কেল”-এর বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৮৪ বছর বয়সী এই নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এবং দেশের গর্ব হিসেবে বিবেচিত হলেও, বর্তমান অন্তর্বর্তী দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর চারপাশে কিছু চিহ্নিত উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি জড়ো হয়েছে বলেই যুলকার নাইন সায়ের দাবি করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এই চক্রটি — যার মধ্যে অন্যতম হিসেবে উঠে এসেছে নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া ছোটনের নাম — একদিকে যেমন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে, অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধেও চক্রান্তমূলক তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। যুলকার নাইনের মতে, এই চক্রের উদ্দেশ্য দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ধ্বংস করে একটি একনায়কতান্ত্রিক বা তৃতীয় শক্তিনির্ভর শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
তাঁর মতে, “হাসিনা কাল্ট” যেভাবে গুম-খুন-নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে একটি ভয়াবহ শাসন কাঠামো তৈরি করেছিল, ঠিক তেমনিভাবে এই “ছোটন চক্র” জাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে একটি ভয়ের সংস্কৃতি ও অজানা আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সাংবাদিক যুলকার নাইন সায়ের দেশবাসী, সকল রাজনৈতিক দল এবং সিভিল সোসাইটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—তাঁরা যেন এ বিষয়ে সচেতন থাকেন এবং প্রফেসর ইউনূসকে সম্মানের সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব পালন ও ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তরের সুযোগ করে দিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
তাঁর স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও তাদের নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা থাকা জরুরি, কারণ তারাই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার মূল ভরসা।
এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও নাগরিক মহলে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।