গত ১৬ বছরের শাসন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, কীভাবে এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকার ফলে ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে পারে—এমন মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
রোববার (২৯ জুন) ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “যদি আমরা এখান থেকে শিক্ষা না নিই এবং জুলাইকে যথাযথভাবে স্মরণে না রাখি, তাহলে একই ভুল আবার ঘটবে, একই ঘাটে আবারও আমাদের পতন হবে। আবারও গণঅভ্যুত্থানের জন্য মানুষকে রাস্তায় নামতে হবে।”
তিনি বলেন, “জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্য প্রয়োজন। দলগুলো যত দেরিতে একমত হবে, ততই দেরি হবে এই ঐতিহাসিক সনদটি বাস্তবায়নে।”
ঐ বৈঠকে এবি পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক। তিনি বলেন, “গত ১৬ বছরে এক ব্যক্তির হাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগের ক্ষমতা থাকায় রাষ্ট্রব্যবস্থা দলকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নিয়োগ ব্যবস্থায় এনসিসির পরিবর্তে একটি বহুপক্ষীয় নিয়োগ কমিটি চেয়েছি—যেখানে কারো একক কর্তৃত্ব থাকবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ২-৩টি বাদে প্রায় সবাই এ প্রস্তাবের পক্ষে।”
তিনি আরও জানান, ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে আবারও ভাবতে বলেছে।
এবি পার্টির প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, সহকারী দপ্তর সম্পাদক সরন চৌধুরী এবং কক্সবাজার জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব সারোয়ার সাঈদ।