Shahjahan Ali Manon, Nilphamari District Representative:
“পরাজিত শক্তির রেখে যাওয়া পুরাতন বন্দোবস্ত পরিবর্তন ছাড়া কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। যত দ্রুত এই সংস্কার হবে, দেশ তত দ্রুত সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।”—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের কবর জিয়ারত এবং হাতিখানা উর্দুভাষী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ইকু হেরিটেজ হোটেলের সামনে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “প্রশাসনে এখনও পরাজিত আওয়ামী দোসরদের আধিপত্য বিদ্যমান, যার ফলে এনসিপি’র উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। গতকালও আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব হামলা বা ভয়ভীতির সামনে মাথা নত না করে আমরা দেশ গড়ার কাজ চালিয়ে যাবো।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি এবং ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের দাবিতে এনসিপি’র ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’-র অংশ হিসেবে সৈয়দপুর সফর করছি। শহীদদের রক্ত ও আত্মত্যাগ কোনোদিন বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। সরকার যদি সংস্কারের ব্যাপারে গড়িমসি করে, তবে শহীদদের পরিবার ও যুদ্ধাহতদের দোয়া নিয়ে আবারও মাঠে নামা হবে, এবং এবার আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
এ সময় দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যমান সংবিধান ‘আওয়ামী বিধান’ উল্লেখ করে একে পরিবর্তনের দাবি জানান। এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “ফ্যাসিস্ট বিদায় হলেও রাষ্ট্রযন্ত্রে এখনও ফ্যাসিবাদী তন্ত্র সক্রিয়। কার্যকর সংস্কার ও নতুন বন্দোবস্ত ছাড়া জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
সৈয়দপুর সফরে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন—এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ডা. আতিক মুজাহিদ, ডা. তাসনিম জারা, আলী নাসের খান, আবু সাঈদ লিওনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
কবর জিয়ারত শেষে নেতারা হাতিখানা উর্দুভাষী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং পরে শহরের বিভিন্ন সড়কে জনসংযোগ ও পদযাত্রায় অংশ নেন। এই কর্মসূচিতে শতাধিক তরুণ-যুবক অংশগ্রহণ করেন।