রাজধানী ঢাকায় সাম্প্রতিক অচলাবস্থা ও সরকারের ক্রমবর্ধমান ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ এলডিপি। দলের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ও মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, রাজধানী কয়েকদিন ধরে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে, অথচ সরকার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেন, সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তায় একটি ‘কিংস পার্টি’ অকারণে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে। এসব কর্মকাণ্ডে সরকারের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ।
তারা বলেন, “অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্য কী? তারা কি তাদের নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করছে, নাকি অন্যকিছুতে ব্যস্ত? জনগণ এর উত্তর জানতে চায়।”
নেতৃদ্বয়ের অভিযোগ, সরকারের অভ্যন্তরে এখনো ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত দুই উপদেষ্টার প্রভাব রয়েছে। তাঁরা অবিলম্বে এদের পদত্যাগ দাবি করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আদালতের রায়ে মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে এলডিপি নেতারা বলেন, “ছাত্র উপদেষ্টাদের হস্তক্ষেপে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাকে দায়িত্ব দিচ্ছে না। এতে নগরবাসীর ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও তাকে কেন্দ্র করে সরকারের এক শ্রেণির ষড়যন্ত্র চলছে। এমনকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে যাচ্ছেন, যা সুশীল সমাজের অনেকে ইতোমধ্যে সমালোচনা করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে এলডিপি নেতারা বলেন, “দেশের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা এখনো চলমান। সরকার যদি অতীতের ইতিহাস ভুলে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চায়, তাহলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে।”
তারা আরও বলেন, “ড. ইউনূসের ওপর যেভাবে সরকার বৈরী মনোভাব নিচ্ছে, সেটি অশনি সংকেত। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে এর খেসারত দিতে হবে।”