জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ৫ আগস্ট গণভবন জয়ের পর এবার তাদের লক্ষ্য জাতীয় সংসদ ভবন জয় এবং বাংলাদেশের পুনর্গঠন। রবিবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর জিরোপয়েন্টে বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদের পতন, এবার আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের পুনর্গঠন। আমরা গণভবন জয় করেছি, এবার জাতীয় সংসদ জয় করবো। জাতীয় নির্বাচনে তরুণদের অভূতপূর্ব বিজয় উদযাপন হবে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অনেক সুযোগ দিয়েছি, আর নয়। যারা সংস্কারের পথ রুদ্ধ করতে চায়, তাদের জনগণ কোনোদিন ক্ষমা করবে না।” পাশাপাশি আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আদায়ের দৃঢ় ঘোষণা দেন তিনি।
পথসভায় দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “আমরা বলি, জনগণের ন্যায়সঙ্গত আবেগকে বাস্তবে রূপান্তর করাই আমাদের রাজনীতি। তাই জুলাইয়ে জনগণ রক্ত ঢেলেছে।”
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “তরুণ সমাজ এখন আর দালালি চায় না। যারা সংস্কারের বিরোধিতা করছে, তারা আসলে তরুণদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।”
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পরেও আমাদের স্বপ্নগুলো অপূর্ণ। যতদিন না তা বাস্তবায়ন হয়, ততদিন জুলাই চলবে।”
ডা. তাসনিম জারা বলেন, “স্বাধীনতা এনেছি, সংস্কারও আনবো। যারা গত বছর খুনের নির্দেশ দিয়েছে, তাদের বিচার এ দেশের মাটিতেই হবে।”
পথসভা শেষে সংগঠনটির হাজারো নেতাকর্মী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর রেলগেট এলাকা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত মিছিল করে।
পদযাত্রায় তারা ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ক্ষমতা না, জনতা’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’—এমন বিভিন্ন ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলে।
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির রাজশাহী মহানগর প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী, যুগ্ম সমন্বয়কারী আল আশরারুল ইমাম তানিম। উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।