সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাজী সেলিম ফের শিরোনামে। সোমবার (৫ মে) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে হাজির হন তিনি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এ সময় তার পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট এবং হাতে হাতকড়া।
আদালত চত্বরে হাজী সেলিমের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে কাছাকাছি যেতে না পারায় দূর থেকেই ভাইয়ের মেয়েসহ আত্মীয়দের খোঁজ করেন তিনি। একপর্যায়ে ভাতিজিকে দেখে দূর থেকে হাতে ‘উড়ন্ত চুমু’ ছুড়ে দেন হাজী সেলিম—এ দৃশ্য তখনকার মুহূর্তে উপস্থিত সবার নজরে আসে।
শুনানি শেষে তাকে শাহবাগ থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয়। এ সময় আদালতে হাজী সেলিমের হাতে থাকা একটি কাটা পত্রিকার অংশ বেশ কৌতূহলের জন্ম দেয়। জানা যায়, সেটি ছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) প্রকাশিত একটি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির কাগজ। আদালতে হাজির হওয়ার সময় তিনি সেই অংশ তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শ্রী প্রাণ নাথের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী জানান, “হাজী সেলিম কারাগারে ডিভিশনপ্রাপ্ত, ফলে পত্রিকা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি পত্রিকা পড়তে গিয়ে একটি জাহাজ টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেখতে পান, যেহেতু তার নিজেরও জাহাজ রয়েছে—সেই প্রেক্ষিতেই কাগজটি কেটে নিয়ে আসেন।”
আদালত থেকে হাজতখানায় ফেরার সময় একপর্যায়ে হাজী সেলিম পুলিশ সদস্যদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে উচ্চস্বরে প্রতিবাদ জানান, ‘হ্যাত হ্যাত’ করে চেঁচিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।