এলন মাস্ক, যিনি বর্তমানে মার্কিন সরকারের “ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি” (DOGE) এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ তারিখে পেন্টাগনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এ বৈঠকে তিনি প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে প্রধানত সরকারি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নতুন উদ্যোগ এবং খরচ কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। মাস্কের এই উদ্যোগের লক্ষ্য সরকারী খরচের অপব্যবহার কমানো এবং সরকারি কাজকর্মে আরও দক্ষতা আনা।
এলন মাস্কের পেন্টাগনে এই সফরের সময় কিছু সংবাদে বলা হয়েছিল যে, বৈঠকে চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ তীব্রভাবে এসব প্রতিবেদন অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমে জানান, “এটা পুরোপুরি মিথ্যা খবর। বৈঠকটি শুধুমাত্র সরকারের খরচ কমানো এবং কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে ছিল।”
হেগসেথও বলেন, “এটি কোনো গোপন বা চীনা যুদ্ধ পরিকল্পনার বৈঠক ছিল না। এটা ছিল একেবারেই অপ্রচলিত এবং অনানুষ্ঠানিক আলোচনা।” তাদের দাবি অনুযায়ী, এই বৈঠকটি ছিল পুরোপুরি অ-গোপন এবং সরকারের সাশ্রয়ী উদ্যোগের উপর।
এছাড়া, মাস্কের চীনে টেসলা এবং স্পেসএক্সের ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে, যা কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ট্রাম্প বলেছেন, মাস্কের মতো একজন ব্যবসায়ী যখন সরকারের সাহায্যে এত বড় পরিবর্তন আনছেন, তখন তার সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করা ঠিক নয়।
মাস্কও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জানান, “এটা সবই মিথ্যা। আমি এখানে সরকারের কার্যক্রমে দক্ষতা আনার জন্য আছি। চীনা যুদ্ধের বিষয়টি একেবারে অপ্রাসঙ্গিক।” তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং যারা এসব মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
এলন মাস্কের এই সফরটি কেবল সরকারী খরচ কমানো এবং কার্যক্রমে উন্নতি আনার জন্যই ছিল, তবে তার চীনে ব্যবসায়িক সংযোগ এবং সরকারী কার্যক্রমের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে, এটি নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
এলন মাস্কের নেতৃত্বে DOGE ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারের খরচ কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সরকারের কার্যক্রমকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও ফলপ্রসূ করার জন্য কাজ করছে।